মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন, অসাবধানতাবশত রাস্তায় পড়ে গিয়ে পা মচকে যায়। পরে জানা যায়, টিস্যুতেও ক্ষতি হয়েছে। এখন পায়ে প্লাস্টার, হাঁটতে হচ্ছে ক্রাচে ভর দিয়ে। সিডনিতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাবনূর বললেন, ‘ব্যথাটা পেয়ে আমার আক্কেল হয়েছে, জীবনে কোনো দিন কোথাও হাঁটতে–চলতে গিয়ে মোবাইল দেখব না।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ল্যাকেম্বার একটি রাস্তায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, শাবনূরের এই দুর্ঘটনার খবর। তিনি জানালেন, গত শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর পায়ের প্লাস্টার করিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খাচ্ছেন। দুই সপ্তাহ পায়ে প্লাস্টার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

শাবনূর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই দ র ঘটন শ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

ফের বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। ব্যাংক-বীমাসহ অধিকাংশ শেয়ারের দর পতনে সূচকের এতটা পতন হয়েছে।
গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরু হলে প্রায় সব শেয়ারের দর পতন হয়। ওই দিন সূচকটি ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ হারায়। যদিও ভারত-পাকিস্তানে ওই সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো নেতিবাচক প্রভাবের কারণ ছিল না, যার কারণে শেয়ারবাজারে দর পতন হতে পারে। পরদিনই শেয়ারদর বাড়লে সূচকটি প্রায় ১০০ পয়েন্ট ফিরে পায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত শনিবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

মাঝে শেয়ারবাজারের চলমান সংকটাবস্থা নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পর সোমবার শেয়ারদরে মিশ্রধারার মধ্যে ব্যাংক ও বীমা খাতের শেয়ারদরে ভর করে সূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। এর পর ফের পতন হলো।
গতকাল দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শুরুর চার মিনিটে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ভর করে সূচকটি ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৪৪ পয়েন্ট ছাড়ায়। পরে কিছু শেয়ারের দর কমায় আগের অবস্থান হারালেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘পজিটিভ’ ছিল। এর পর পতন শুরু হয়। শেষ পৌনে এক ঘণ্টায় বড় পতনে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৮২ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৬২ পয়েন্টের নিচে নামে। অবশ্য শেয়ারের সমাপনী মূল্যের হিসাবে থামে ৪৮৭৪ পয়েন্টে।

সার্বিক হিসাবে গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টির দর বেড়েছে, দর হারিয়েছে ২৭২টি এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৩২টি। এ ছাড়া ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র দুটির।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, ভ্রমণ ও অবকাশ, টেলিযোগাযোগ এবং বিবিধ খাতের গড় শেয়ারদর ১ শতাংশের কম কমেছে। অবশ্য এই পাঁচ খাতের মোট কোম্পানি রয়েছে ৪১টি, যা ৩৯টির শেয়ার গতকাল কেনাবেচা হয়েছে। বাকি ১৪ খাতের গড়ে ১ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত দর পতন হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ