দুজনই ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। শুধু ক্ষেত্রটা আলদা। বিরাট কোহলি ক্রিকেটার, নোভাক জোকোভিচ টেনিস খেলোয়াড়।

তবে দুজনেরই একে অপরকে নিয়ে তুমুল আগ্রহ আছে, আছে মুগ্ধতাও। কখনো দেখা না হলেও বিরাট কোহলি ও নোভাক জোকোভিচের মধ্যে যে নিয়মিত বার্তা আদান–প্রদান চলে, তা জানিয়েছেন তাঁরা। কোহলি যখন টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন, তখন সেই প্রসঙ্গটা এল আবার।

কাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, আর সাদা পোশাকে ভারতের হয়ে খেলবেন না। এই সংস্করণে ব্যাট হাতে ১২৩ ম্যাচে ৯২৩০ রান করেছেন, আছে ৩০টি সেঞ্চুরি, ৩১টি ফিফটি। এর বাইরেও টেস্টে কোহলি রেখে গেছেন নিজের ছাপ।

আরও পড়ুনদেখা না হলেও কোহলি–জোকোভিচ ‘বন্ধু’, দুজন দুজনায় মুগ্ধ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

বয়স ৩৬ পেরোলেও কোহলির সামনে আরও অনেক কীর্তি গড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি এখনই থামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেস্ট থেকে অবসরের পর সবার কাছ থেকে অভিবাদনও পাচ্ছেন। এ তালিকায় তাঁর সাধারণ ভক্ত–সমর্থক যেমন আছেন, তেমনি আছেন বড় বড় তারকাও। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন জোকোভিচ।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কোহলির একটি ছবি দিয়ে জোকোভিচ লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য ইনিংস, বিরাট কোহলি।’ কোহলির লম্বা ক্যারিয়ারকেই একটা ইনিংস হিসেবে বুঝিয়েছেন জোকোভিচ।

জোকোভিচের সঙ্গে সম্পর্কের শুরুর গল্পটা জানিয়েছিলেন কোহলি। ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পর কোহলি অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলেন এই টেনিস কিংবদন্তিকে। কিন্তু ইনবক্সে গিয়ে দেখেন, জোকোভিচ তাঁকে আগেই বার্তা পাঠিয়ে রেখেছেন। এর পর থেকে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ করেন।

সম্পর্কের কথাটা জানিয়েছিলেন জোকোভিচও। কোহলির অর্জনের প্রতি নিজের সম্মানের কথাও তিনি জানিয়েছেন। নিজের ক্রিকেটীয় দক্ষতা উন্নতি না করে ভারতে গিয়ে লজ্জায় পড়তে চান না বলে মজাও করেছিলেন।

মাঝে মাঝে টেনিস কোর্টকেই ক্রিকেট মাঠ বানিয়ে ফেলেন জোকোভিচ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক হল র

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ