রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতেই রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকালে সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আরো পড়ুন:

বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারালেন ঢাবি ভিসি, ‘মার বেটা আমাকে, মার’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাবি ছাত্রদল নেতা খুন, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

বুধবার সকালে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর মামলা ও আটকের বিষয়য়ে তথ্য দিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাম্যের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে, জানান ওসি মুনসুর।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম রাতে জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দিরের পাশে তিন যুবক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাম্যর ওপর হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরাও আহত হন। তারা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে দুজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় আরেক যুবক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রমনা কালী মন্দিরের পাশে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বিস্তারিত জানতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চত্বরে মধ্যরাতেও নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। সারা রাত উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। বুধবার সকালে সাম্যর মরদেহ ঢাবি ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আহত ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা