ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নিরাপত্তা বাড়ানো হলো। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অতিরিক্ত দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার্বিকভাবেও তাঁর নিরাপত্তাবলয় বাড়ানো হচ্ছে।

আজ বুধবার ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের এক খবরে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহে জয়শঙ্করের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নয়াদিল্লিতে জয়শঙ্করের সরকারি বাসভবন চত্বরেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ৭০ বছর বয়সী জয়শঙ্কর ‘জেড’ স্তরের নিরাপত্তা পান। কিন্তু এবার সেই স্তরেই তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হলো।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ‘আশঙ্কার দিক’ বা ‘থ্রেট পারসেপশন’ খতিয়ে দেখে সময়ে সময়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো বা কমানোর বিষয়টি ঠিক করে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঠিক করেছে, জয়শঙ্করের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

সরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থার কয়েকটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর ‘এক্স’। তার পরের পর্যায় ‘ওয়াই’ ও ‘ওয়াই প্লাস’। এর পর আসে ‘জেড’ ও ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা। তার পরের ধাপে নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজির। সবার ওপরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা।

জয়শঙ্কর আগে পেতেন ‘ওয়াই’স্তরের নিরাপত্তা। ২০২৩ সালের পর তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা ‘জেড’স্তরে উন্নীত করা হয়। এবার সেই স্তরেই তাঁর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হলো। তাঁর নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব মূলত আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ২০০ বিশিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। তাঁদের মধ্যে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মতো বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতারাও রয়েছেন। প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর পরিবারের সদস্য, বিরোধী নেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁরা এই নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র পর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ