2025-07-06@04:43:13 GMT
إجمالي نتائج البحث: 27
«র মহররম»:
আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদী-তীরবর্তী কারবালার ময়দানে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। শোকের দিন পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিল বের করেছেন শিয়া মুসলিমরা। আজ রোববার সকাল ১০টায় হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার সুপারিনটেনডেন্ট এম.এম. ফিরোজ হোসেন জানান, তাজিয়া মিছিলটি সাজানো হয়েছে সামনে কালো ব্যানার, বেহেস্তা (লাল-সবুজ নিশান), পাঞ্জা আলম মাতম, দুলদুল ঘোড়া, খুনি ঘোড়া ও একটি জারি তাজিয়া দিয়ে। মিছিলটি হোসাইনী দালান ইমামবাড়া উত্তর গেট থেকে বের হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার লেন, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, বকশীবাজার (কলপাড়) মোড়, উমেশ দত্ত রোড, উর্দু রোড মোড়, হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাড় চৌরাস্তা মোড়,...
আজ পবিত্র আশুরা। হিজরি ১৪৪৭ সনের ১০ মহররম। মুসলমান সম্প্রদায়ের গভীর শোকের দিন। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে কারবালার প্রান্তর রক্তাক্ত হয়েছিল। এই লড়াইয়ে ইমাম হোসেন সপরিবার জীবন উৎসর্গ করে সত্যের জয়গান গেয়ে যান, যা আজও পৃথিবীর তাবৎ মুসলিমকে অনুপ্রাণিত করে। মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন এবং এ জন্য ষড়যন্ত্র ও বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেন। মহানবী (সা.)-এর আরেক দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.)-কে বিষপানে হত্যা করা হয়। আশুরার দিন ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন, তাঁর পরিবার ও বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখে ইয়াজিদ বাহিনী। কারবালার যুদ্ধ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, ৭২ জন সঙ্গীসহ শাহাদাতবরণ করেন হজরত ইমাম হোসেন (রা.)। এ হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নির্মম।...
আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন। হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর এই তারিখে শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমার এক অনন্য অনুষজ্ঞ। দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম...
আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে...
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। মহররম অর্থ পবিত্র, সম্মানিত। কোরআনের ভাষায় এই মাস ‘আরবাআতুন হুরুম’ বা চার সম্মানিত মাসের অন্যতম। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা মূলত বারোটি, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী, যেদিন আল্লাহ তাআলা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, সেদিন থেকেই চালু। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ৩৬)মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যেদিন আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে সময় তার নিজস্ব গতিতে চলছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আরেকটি মাস রজব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩১৬৭)মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ আশুরা। আশুরার দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার দিন। সম্মানিত, পবিত্র ও বরকতময় মাস হিসেবে মহররম মুমিনের ইবাদতের মাস। আল্লাহ আমাদের...
কিশোরগঞ্জের সর্বপূর্বের উপজেলা অষ্টগ্রাম। পুব দিকের একই কাতারে (উত্তর-দক্ষিণ) আছে আরও দুই উপজেলা—ইটনা ও মিঠামইন। সবই হাওর-অধ্যুষিত। একসময় অষ্টগ্রামে যে পনিরের উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল, তার মূল কারণ মহিষের আধিক্য। বিস্তীর্ণ চারণভূমিতে তখন পালকে পাল, অগণন মহিষ চরে বেড়াত। অধুনা নগরবাসী অষ্টগ্রামের যে পনির দ্বারা রসনা তৃপ্ত করেন, সম্প্রতি তাতে গরুর দুগ্ধজাত পনিরও যুক্ত হয়েছে।এই জনপদে মহররমের শোকানুষ্ঠান এক ভিন্নমাত্রা লাভ করেছিল। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতিটি বাংলাদেশে একটি জাতীয় অবয়ব পেয়েছে। তার মধ্যে অষ্টগ্রামে ঘটেছে এর বিশিষ্ট এক স্থানীয়করণ। সবই প্রাবল্য, বাহুল্য ও আতিশয্য। মহররমের ট্রেনযাত্রায় ছিলাম একা, অন্য সময় কেউ না কেউ সহযাত্রী হন। বই-খাতার ভারে নুইয়ে পড়া বোঁচকা আর ডিএসএলআরের ওজন কুলিয়ারচর ঘাটে গিয়ে বোঝা হয়ে গেল। আজ অষ্টগ্রাম থেকে কোনো স্পিডবোট আসবে না, যেগুলো গেছে সেগুলো যাত্রী না পেয়ে...
ইসলামি চান্দ্রবর্ষপঞ্জির হিসাবে মহররমের চাঁদ উদিত হলেই হিজরি নববর্ষের সূচনা হয়। কিন্তু এ দেশে প্রচলিত অন্যান্য নববর্ষ উদ্যাপনের মতো হিজরি নববর্ষকেন্দ্রিক বৃহত্তর কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন তেমন দেখা যায় না। ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ করেছি, শোকাবহ মহররম স্মরণে আমার মা আমেনা খাতুন প্রতিবছর মহররমের চাঁদ উঠলেই পরদিন থেকে টানা ১০ দিন রোজা রাখেন। পাশাপাশি অনেকটা নিয়ম করে ভোরে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং কখনো দুপুরে, কখনো সন্ধ্যার পরে মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ–সিন্ধু পাঠ করেন। শুধু তা–ই নয়, প্রতিবছর মহররম এলে কারবালার প্রান্তরে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের সঙ্গে এজিদ বাহিনীর যুদ্ধের স্মরণে আমাদের গ্রামে লাঠিখেলার আয়োজন দেখে আসছি। এখনো মহররম বা আশুরা উপলক্ষে আমাদের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে লাঠিখেলার ঐতিহ্য সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়নি।মহররমকেন্দ্রিক সাহিত্যিক-ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে অধিকাংশ বাঙালি মুসলমান শ্রদ্ধার সঙ্গে বিষাদ–সিন্ধু...
স্মৃতি যখন রক্তাক্ত হয়, ইতিহাস তখন থমকে দাঁড়ায়। তেমনি এক গভীর শোক, শিক্ষা ও আত্মত্যাগের নাম আশুরা। হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম, আর এই মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটি মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক দিন। আশুরার স্মৃতি শুধু শোকের নয়, এটি আদর্শ, আত্মত্যাগ এবং ন্যায়ের প্রতীক। এদিন মুসলমানদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্যের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করা যাবে না। আশুরার তাৎপর্য বহুমাত্রিক। এটি যেমন নবীদের নানা বিজয় ও রহমতের দিন, তেমনি ইমাম হুসাইন (রা.)-এর নেতৃত্বে সংঘটিত কারবালার হৃদয় বিদারক আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে। আশুরা আমাদের শেখায়, কীভাবে ধৈর্য, সাহস ও ঈমানের শক্তিকে ধারণ করে কঠিন সময়েও সত্যের পথে অটল থাকা যায়। এই দিনে রক্ত ঝরেছে, কিন্তু মাথা নোয়ানো হয়নি। আরো পড়ুন:...
কারবালার ঘটনা মুসলিম ইতিহাসের একটি হৃদয়বিদারক অধ্যায়। ৬১ হিজরির মহররম মাসের আশুরার দিনে সংঘটিত এ ঘটনায় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রা.)–সহ আহলে বাইতের ২৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৫৩)এ নিবন্ধে কারবালার প্রেক্ষাপট, ঘটনাপ্রবাহ এবং পরবর্তী ঘটনাবলি ইতিহাসের আলোকে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।তিনি বাইয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন, যা ইতিহাসবিদদের মতে তার প্রথম রাজনৈতিক ভুল ছিল।ঘটনার প্রেক্ষাপট ৫৬ হিজরিতে আমির মুয়াবিয়া (রা.) তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী শাসক হিসেবে মনোনীত করেন এবং তার পক্ষে বাইয়াত গ্রহণ শুরু করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৬১)তবে হোসাইন ইবনে আলি (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.), আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন, অন্যদের বাইয়াতে বাধাও...
মহররমের ঘটনা বলতেই অনেকে কারবালাকে প্রধান মনে করেন। কিন্তু কারবালারও আগে ইসলামে মহররমের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশেষত রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়কালের আগে কয়েকজন নবীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা মহররম মাসে সংঘটিত হয়েছিল।আদম (আ.)-এর তওবা কবুল অনেক মুফাসসির বর্ণনা করেন, বেহেশত থেকে পৃথিবীতে পদার্পণের পর হজরত আদম (আ.) নিজ ভুলের অনুশোচনায় দীর্ঘদিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন। একটা সময় পর অবশেষে মহররমের ১০ তারিখে হজরত আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দেন। (ইমাম গাজালি, ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন, ১/২০২; তাফসিরে কুরতুবি, সুরা বাকারা ৩৭ আয়াতের ব্যাখ্যা)আরও পড়ুনহজরত আদম (আ.) বিশ্বের প্রথম নবী০৭ জানুয়ারি ২০২৫নুহ নবী (আ.)–এর কিশতির ডাঙার সন্ধান বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, মহররমের ১০ তারিখে (আশুরা দিবসে) হজরত নুহ (আ.)-এর কিশতি দীর্ঘদিন প্লাবনের পানিতে...
হিজরি সনের মহররম মাস এলেই কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী লংলা অঞ্চলের ইমামবাড়াগুলোতে শুরু হয় ১০ দিনব্যাপী শোক অনুষ্ঠান। কারবালার শহীদদের স্মরণে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা শোক অনুষ্ঠান ও তাজিয়া মিছিলে অংশ নেন। এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও উপজেলার ইমামবাড়াগুলোতে ভক্তদের মাতম চলছে। ১ মহররম থেকে কারবালার স্মরণে শোকের কালো নিশান ও আলম পাঞ্জা ওড়ানো হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইমামবাড়াতে। ইতোমধ্যে পৃথিমপাশা জমিদারবাড়ি, তরফি সাহেববাড়ি, ছোট সাহেববাড়ি, পাল্লাকান্দি সাহেববাড়িসহ বিভিন্ন ইমামবাড়াতে ভিড় করছেন ভক্ত। এসব ইমামবাড়াতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মজলিস (ধর্মীয় আলোচনা), নোহা, জারি, মার্সিয়া, বিশেষ মোনাজাত, জিয়ারত, শিরনির আয়োজন চলছে। প্রায় আড়াইশ বছর ধরে পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের ঐতিহ্য অনুযায়ী কারবালার শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ‘হায় হোসাইন, হায় হোসাইন’ মাতমের পাশাপাশি তাজিয়া মিছিল...
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনালগ্নেই আগমন ঘটে এক মহিমান্বিত মাসের। সেটি হলো মহররম। আর মহররম মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। এটি ইসলামের ইতিহাসে একদিকে যেমন বরকত, রহমত ও বিজয়ের নিদর্শন, অন্যদিকে তেমনি এক হৃদয়বিদারক আত্মত্যাগের স্মারক।আরবিতে ‘আশারা’ অর্থ ১০। সেখান থেকেই মহররমের ১০ তারিখকে ‘আশুরা’ বলা হয়। এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট দিনের নাম নয়—এটি ইতিহাস, শিক্ষা, আদর্শ ও আত্মিক বিপ্লবের এক অনন্য প্রতীক।আল্লাহ তাআলা এই দিনটিকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। আশুরার দিনই আল্লাহ হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন। এই দিনেই তিনি নুহ (আ.)-এর জাহাজকে মহাপ্লাবনের পর নিরাপদে ‘জুদি’ পর্বতে স্থির করেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এই দিন আগুন থেকে মুক্তি লাভ করেন, ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে উদ্ধার পান, আইয়ুব (আ.) রোগমুক্ত হন, সুলাইমান (আ.) রাজত্ব ফিরে পান...
হিজরি ১৪৪৭ সনের শুরুতে মহররম মাস আমাদের সামনে এসেছে। মহররমকে আল্লাহ ‘শাহরুল্লাহ’ বা তাঁর নিজের মাস বলে সম্মানিত করেছেন। এই মাসে আশুরার রোজা আমাদের জন্য মুসা (আ.)-এর উত্তরাধিকার পুনরুদ্ধারের এক অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে। কোরআনে সবচেয়ে বেশিবার উল্লেখিত নবী মুসা (আ.) এই উম্মাহর জন্য এক প্রেরণার পুরুষ।কোরআনের কেন্দ্রীয় চরিত্রমুসা (আ.)-এর গল্প কোরআনে ১৩৬ বার উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি শুধু ইহুদিদের নবী নন, মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মাতের জন্যও একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী। আল্লাহ বলেন, ‘আমি মুসাকে আমার নিদর্শন ও স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউন, হামান ও কারুনের কাছে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তারা বলল, সে একজন জাদুকর ও মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুমিন, আয়াত: ২৩-২৪)নবীজি (সা.) ইহুদিদের বললেন, ‘মুসার প্রতি আমাদের অধিকার তোমাদের চেয়ে বেশি।’ তিনি সেদিন রোজা রাখলেন এবং মুসলিমদেরও তা পালনের নির্দেশ দিলেন। ফেরাউন ছিলেন অত্যাচারী শাসক,...
মহররমকে কেন্দ্র করে সমাজে রয়েছে অসংখ্য ভুল ধারণা ও কুসংস্কার, যার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। অধিক প্রচলিত কয়েকটি কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা করা হলো।১. অলীক বর্ণনামহররমের গুরুত্ব বোঝাতে অনেকে নানা কথা বলেন। যেমন এ মাসে ইউসুফ (আ.) জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ইয়াকুব (আ.) চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়েছেন, ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ইদরিস (আ.)-কে আসমানে তুলে নেওয়া হয়। অনেকে বলেন, এ দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এসব কথার দৃঢ় কোনো ভিত্তি নেই। (আল-আসারুল মারফুআ, আবদুল হাই লাখনবি: ৬৪-১০০; মা সাবাতা বিস-সুন্নাহ ফি আয়্যামিস সানাহ, আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবি: ২৫৩-২৫৭)।আরও পড়ুনমরিয়ম (আ.)-এর অলৌকিক ঘটনা০৯ মে ২০২৫২. খাবারে নিষেধাজ্ঞামহররম এলে অনেকে মাছ, শাক ও মিষ্টি–জাতীয় খাবার খান না। এটা সঠিক নয়। ইসলাম অন্যান্য মাসের মতো এ মাসেও কোনো হালাল খাদ্য হারাম করেনি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বছরের সব সময়...
মহররম হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। মহররম শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামে এ মাসের সঙ্গে অনেক ঘটনার স্মৃতি জড়িত। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এ মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে নামকরণ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সুরা তাওবার ৩৬ আয়াতে এরশাদ হয়েছে: ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২। এর মধ্যে চারটি মাস (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) সম্মানিত’। আল্লাহতায়ালা কোরআন মাজিদের সুরা বাকারার ১৮৯ আয়াতে হিজরি সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন: লোকেরা আপনার কাছে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি তাদের বলে দিন, এটা মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের হিসাব এবং হজের সময় নির্ধারণ করার জন্য। মুসলমানদের বহু দ্বীনি বিষয়, বিশেষ করে হজের মতো মহিমান্বিত আমল নির্ভরশীল চাঁদের হিসাবের ওপর। আরবি মাস-বছর ঘিরে ইসলামের বহু বিধান আবর্তিত হয়। এই আরবি হিজরি চান্দ্রবর্ষের প্রথম মাসটিই...
মহররম মাসটি ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় মাস হিসেবে বিবেচিত। কোরআনে যেমন সম্মানিত চারটি মাসের অন্যতম বলা হয়েছে, তেমনি হাদিসে মাসটিকে আল্লাহর মাস বলে ঘোষণা দিয়ে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। মহররম মাসে ইসলামে রয়েছে বিশেষ কিছু ইবাদতের নির্দেশনা।মহররম মাসের ইবাদত সম্পর্কে শরিয়াহ নির্দেশিত বিশেষ পাঁচটি ইবাদতের কথা আলোচনা করা হলো।এই চার মাসের মধ্যে তোমরা (গুনাহ করে) নিজেদের প্রতি জুলুম কোরো না।সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬১. গুনাহ বর্জন করা মহররম সম্মানিত চারটি মাসের অন্যতম। কোরআনে এই মাসগুলোতে নিজেদের ওপর জুলুম করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর নাফরমানি ও অবাধ্যতার চেয়ে বড় জুলুম আর কী হতে পারে? আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এই চার মাসের মধ্যে তোমরা (গুনাহ করে) নিজেদের প্রতি জুলুম কোরো না।’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)আরও পড়ুনতওবা-ইস্তিগফার: গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ উপায়১২ মার্চ ২০২৫২. নফল রোজা...
পবিত্র আশুরা ঘিরে ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলসহ অন্যান্য কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সুসংহত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ও ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সরওয়ার। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি। ডিএমপি ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, আগামী ০৬ জুলাই (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা। ২৭ জুন থেকে ০৬ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিয়া ও অনেক সুন্নি সম্প্রদায়ও শোক পালন করছেন। ঢাকা মহানগরীর হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটরা, মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প, শিয়া মসজিদ, বিবিকা রওজা, মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পসহ অন্যান্য স্থান যেখানে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা পালিত হয় সেখানে ইতোমধ্যেই পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা...
মহররম কেবল একটি মাস নয়, বরং ইসলামের ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়, যেখানে বিষাদ, সংগ্রাম ও আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ রয়েছে। কেবল ১০ মহররম নয়, এই মাসজুড়ে ঘটেছে ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ও ব্যথাতুর নানা ঘটনা। আমরা কয়েকটি উল্লেখ করছি।মহররমের উল্লেখযোগ্য তারিখ ও ঘটনা২ মহররম: কারবালায় হোসাইন (রা.)-এর প্রবেশ৬৮০ সালে, হিজরি ৬১ সনে হোসাইন ইবন আলী (রা.) কারবালায় প্রবেশ করেন এবং তাঁর শিবির স্থাপন করেন। ইয়াজিদের সেনাবাহিনী তাঁদের ঘিরে ফেলে।কুফার দিকে যাওয়ার পথে উমাইয়া সৈন্যরা তাঁদের থামান এবং কারবালার মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করতে বাধ্য করেন, যেখানে পানি বা কোনো সুরক্ষা দেয়াল ছিল না। এই ঘটনা কারবালার ট্র্যাজেডির সূচনা করে (আল-তাবারি, তারিখ আল-তাবারি, ৫/৩৯১, দারুল কুতুব, ১৯৬৭)।৭ মহররম: পানি নিষিদ্ধকরণ৬৮০ সালে, হিজরি ৬১ সনে ইয়াজিদের নির্দেশে হোসাইন (রা.)-এর শিবিরের জন্য পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।...
ইসলামি চান্দ্রবর্ষের প্রথম মাস মহররম। ‘মহররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এ মাস এমন কিছু উল্লেখযোগ্য স্মৃতিবিজড়িত, যেসব স্মৃতির সম্মানার্থেই একে ‘মহররম’ বা ‘সম্মানিত’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর খিলাফতকালে হজরত উসমান (রা.), হজরত আলী (রা.), হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) ও হজরত আমর ইবনুল আছ (রা.)-এর পরামর্শে ইসলামি সনের গণনা শুরু হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হিজরতের বছরকে প্রথম বছর ধরে এ সন গণনা শুরু হওয়ায় একে ‘হিজরি সন’ বলা হয়।হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্য গভীরভাবে সম্পৃক্ত। ওআইসির ফিকহ একাডেমিসহ বিভিন্ন ইসলামি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চান্দ্রতারিখ নির্ধারণে তিনটি পদ্ধতির স্বীকৃতি দিয়েছে: ১. স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা, ২. পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে নির্ধারণ, ৩. জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুসারে স্থায়ী চান্দ্রপঞ্জি অনুসরণ।মুসলমানদের ইবাদত ও ধর্মীয় বিধিবিধান চান্দ্রতারিখের...
বাংলাদেশের আকাশে গতকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ শুক্রবার ১৪৪৭ হিজরির প্রথম দিন, তথা মহররম গণনা শুরু হবে। এ হিসাবে আগামী ১০ মহররম, অর্থাৎ ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা। বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আশুরা উপলক্ষে আগামী ৬ জুলাই সরকারি ছুটি থাকবে। ফারসি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ ‘দশ’। তাই ১০ মহররম ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। ৬১ হিজরি ১০ মহররম কারবালায় ফুরাত নদীতীরে ইয়াজিদ বাহিনী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় কন্যা ফাতিমার (রা.) পুত্র ইমাম হুসাইন (রা.)-কে হত্যা করে। এ কারণে মুসলমানদের কাছে দিনটি শোকের। তবে আশুরার আরও গুরুত্ব রয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, ১০ মহররম কেয়ামত হবে। এই দিনে পৃথিবীতে আদম (আ.)-এর আগমন...
আরবি নববর্ষ ১৪৪৭-এর আগমনকে স্বাগত জানাই। হিজরি নতুন বছর শুরু হয় মহররম মাস দিয়ে। হিজরি সন মূলত একটি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জিকা, যা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণে গণনা করা হয়। ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসবসহ সর্বক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহ চান্দ্র তারিখের ওপর নির্ভরশীল। আরবি হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তমদ্দুনও ঐতিহ্যগতভাবে সম্পৃক্ত। বছরকে আমরা সাল বা সন বলি। সন শব্দটি আরবি; বাংলায় বর্ষ, বছর ও অব্দ। সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর আবর্তনের সময়কে সৌরবর্ষ এবং পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের আবর্তনের সময়কে চান্দ্রবর্ষ বলা হয়। চাঁদের হিসাবে সব ইবাদতের প্রচলন হজরত আদম (আ.)-এর সময় থেকে। কিন্তু হিজরি বর্ষ বা সন গণনার প্রবর্তন হয় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.)-এর খেলাফতের চতুর্থ বছর থেকে। তখন তিনি ছিলেন অর্ধপৃথিবীর শাসনকর্তা। তাঁর শাসনামলে শাবান মাসে খলিফার কাছে...
ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুখবর। আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। কারণ আগামী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি। আর আগের দুদিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ জুলাই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা করা হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ৬ জুলাই রবিবার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এবার প্রথমে ঘোষণা ছিল ৫ জুন...
রাসুল (সা.) রমজান চলে যাওয়ার পরও সাহাবিদের রোজা পালন অব্যাহত রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন। অর্থাৎ, রোজা শুধু রমজানের ইবাদত নয়। রমজানের রোজা তো ফরজ, বাকি সারা বছর আরও রোজা আছে সেগুলো সুন্নত। বছরের অন্যান্য সময়ের রোজারাসুল (সা.) অধিক পরিমাণে নফল রোজা পালন করতেন। রোজার জন্য নিষিদ্ধ পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো সময় নফল রোজা রাখা যায়। তবে নির্দিষ্ট কিছু কিছু সময়ের রোজা সাধারণ নফল রোজার থেকে বেশি ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) গুরুত্বসহকারে সেই রোজাগুলো পালন করতেন। তিনি আরও যেসব নফল রোজা পালন করতেন তা হলো :১. শাওয়াল মাসের রোজা : নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে অত:পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখে সে যেন গোটা বছর রোজা রাখে। ইবনে মাজাহ, হাদিস ২৪৩৩২. আরাফা দিবসের রোজা : জিলহজ মাসের নয় তারিখে—যাকে...
আমার জন্ম ঢাকায়। আব্বা এম এ কাদের ছিলেন একজন চিকিৎসক। আব্বার চাকরির সুবাদে আমরা ষাটের দশকে আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারে থাকতাম। তখনকার আজিমপুর কোয়ার্টার ছিল সবুজ ঘাসে পরিপূর্ণ। আমাদের ভবনের প্রায় সবাই ছিলেন আব্বার সহকর্মী। বিকেল হলে শিশু–কিশোরেরা পরিপাটি হয়ে ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, গোল্লাছুট, দড়িখেলায় মেতে উঠত। সন্ধ্যায় সবুজ ঘাসে গৃহিণীদের আড্ডা বসত।মহররমের সময় তাজিয়া মিছিল বের হতো। সে সঙ্গে বড় রাস্তায় বসত মহররম মেলা। আব্বার সঙ্গে মেলায় গিয়ে হাঁড়ি–পাতিল, খেলনা, নানা ধরনের জিনিস কিনে আনতাম। বাসার সামনেই ছিল বেবি আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি। ইচ্ছা হলেই কিনে আনা যেত।আমরা পড়তাম আজিমপুর এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে, যেটা বর্তমানে অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ। আমাদের সময় স্কুলটি ছিল একতলা। মিসেস আনোয়ারা মনসুরসহ কয়েকজন বিদেশি শিক্ষক ছিলেন।সে সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল। আমাদের নানুভাই...