ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকাগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর এক গভীর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এই অপরাধের দ্রুত, স্বচ্ছ ও কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ওপর দায় চাপানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ অসাড় ও অযৌক্তিক।

গত কয়েক মাসে ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কয়েক মাসেই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাঁর দায়িত্বে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিবৃতিতে চারটি দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এর মধ্যে রয়েছে শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে অংশীজনের মতামত নেওয়া এবং জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিং ও ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এসব মাধ্যম/প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট (আধেয়) সরিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়া।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড র তদন ত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ