শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি
Published: 15th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকাগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর এক গভীর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এই অপরাধের দ্রুত, স্বচ্ছ ও কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ওপর দায় চাপানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ অসাড় ও অযৌক্তিক।
গত কয়েক মাসে ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কয়েক মাসেই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাঁর দায়িত্বে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন।
ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিবৃতিতে চারটি দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এর মধ্যে রয়েছে শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে অংশীজনের মতামত নেওয়া এবং জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিং ও ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এসব মাধ্যম/প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট (আধেয়) সরিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়া।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড র তদন ত র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি রাজার আসন পেয়ে যাবো: অঞ্জনা
অনেক মানুষ বিয়েকে ক্যারিয়ারের জন্য বাধা মনে করেন। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের কারণে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতের দাপুটে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু পড়ালেখা করেছেন মনোবিদ্যা নিয়ে। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় অঞ্জনার, এরপর পড়ালেখারও ইতি টানেন তিনি। স্বামী সুমন্ত্র বসুর সঙ্গে তিনি চলে যান পাটনায়। এরপর জন্ম হয় তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান অরিত্রর। সংসারে মনোযোগী হন অঞ্জনা।
ছেলে একটু বড় হওয়ার পরে অভিনয়ে মনোযোগ দেন অঞ্জনা। প্রথমে মডেলিং এরপর ছোটপর্দা তারপর বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘রাত বারোটা পাঁচ’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে বাই বাই ব্যাংকক, ল্যাপটপ, ব্যোমকেশ ফিরে এলো, অভিমান, কিশমিশ অপরাজিত ইত্যাদি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
অঞ্জনার ক্যারিয়ার যেমন এগিয়েছে তেমনি ছেলেও ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। অঞ্জনার ছেলে অরিত্র বিদেশে লেখাপড়া করছে। তবে দেশে আসলে মায়ের সঙ্গে হাজির হন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সঙ্গে থাকেন অঞ্জনার স্বামীও। অঞ্জনা প্রমাণ করেছেন, বিয়ে, সন্তানের পরেও চাইলে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়।
আরো পড়ুন:
কারিনা যে কারণে পাকিস্তানে যেতে চান
মিথিলা সম্পর্কে চমকপ্রদ ৬ তথ্য
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, সংসার কখনও ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করেনি? অঞ্জনার সোজাসুজি উত্তর ‘‘বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি একেবারে বিরাট রাজার আসন পেয়ে যাবো? রাজার আসন কেউ সাজিয়ে রেখে বলবে যে— তুমি বিয়েটা ভাঙলেই ওই আসনে গিয়ে বসতে পারবা। না তো! আমি আজকে প্রচণ্ড স্ট্রাগল করছি, আর পারছি না, বিয়েটা ভেঙে দিলাম, কালকে থেকে কী আমি একটা স্মুথ গোলাপ ছড়ানো রাস্তায় হাঁটবো? কালকেউ তো আরেকটা অন্য ধরণের স্ট্রাগলিং লাইফ।’’
এতে বোঝা যায়, বিয়েকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র বাঁধা মনে করেন না অঞ্জনা। তিনি মনে করেন মানুষের স্ট্রাগল শেষ হয় না। হয়তো সম্পর্ক বদলে নিলে স্ট্রাগল বদলে যায়।
ঢাকা/লিপি