lশৈশবের প্রিয় মুহূর্ত
ll স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজার মুহূর্তটাই আমার বেশি ভালো লাগত। বৃষ্টির দিনগুলিতে ছাতা নিয়ে বের হয়ে যেতাম চুপি চুপি, বসে থাকতাম পুকুরপাড়ে; কখনও কখনও উদ্দেশ্যহীন হাঁটতাম, রেললাইন পার হয়ে চলে যেতাম পরশুরাম কলেজগামী সেই রাস্তায়, দেখতাম, প্রবল বৃষ্টির ঢলে সেটি ভেঙে কলকল করে পানি বইছে। বর্ষায়, ছাতার নিচে একা-একা ঘুরে বেড়ানো বা বসে থাকার মুহূর্তগুলি আমার ভালো লাগত। নতুন ক্লাসে উঠলে নতুন বই হাতে নেওয়ার মুহূর্তটাও ভালো লাগত। মনে পড়ে, আমার ছোট ভাই তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই পাওয়ার পর মলাটের ভেতরের পাতায় নিজের নাম লিখে ওপরে লিখেছিল ‘এই বইয়ের মালিক’।
প্রথম প্রকাশিত লেখা
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়, ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পরশুরামের কোলাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘ থেকে প্রকাশিত ‘রক্তিম সূর্য’ নামের ম্যাগাজিনে আমার প্রথম ‘কবিতা’ ছাপা হয়েছিল, পরিবারপ্রদত্ত আশরাফুল হক নামেই। এখনকার নামে প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে, ‘অরুণিমা’ নামের একটি দেয়ালিকায়। কবিতাটি হলো ‘ইনসমনিয়া’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এটি প্রকাশ করেছিলেন।
প্রথম প্রকাশিত বই নিয়ে স্মৃতি
জেনিস মাহমুন এবং আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় একই প্রকাশনী থেকে, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ সালে। জেনিস আর আমি তখন দিনের বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে কাটাতাম। বইমেলা থেকে বের হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে ফিরতে সেদিন আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। শাহবাগে একটা মিশুক [এমন ত্রিচক্রযান, পেছন থেকে চলন্ত অবস্থায় দেখলে মনে হতো লুঙ্গির কোঁচা-মারা কোনো লোক দৌড়াচ্ছে] পাওয়া গেল, তাতে চড়ে আমরা যখন ইব্রাহিমপুরে পৌঁছাই.
এখন যা লিখছি, পড়ছি
লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি এখন। এর সঙ্গে সম্পর্কিত যা কিছু, সবই পড়ছি। ফাঁক পেলেই মোহাম্মদ বশির আহাম্মদের ‘পূর্ব বাংলার রাজনীতি ও মুসলিম সমাজ’ বইটির পৃষ্ঠাগুলোর ছবি তুলছি আর পড়ছি।
প্রিয় উদ্ধৃতি
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়। একটা হলো জ্ঞান, অন্যটি প্রেম।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর v
lগ্রন্থনা- ফরিদুল ইসলাম নির্জন
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোল বন্যার ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি, জয়বঞ্চিত মায়ামি
আক্রমণে ঝড় তুলেও কাঙ্ক্ষিত জয় পায়নি লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে গোলের পর গোলের এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সান হোসে আর্থকোয়েকসের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে তারা। উভয় দলের রক্ষণভাগ কখনও ভেঙে পড়েছে, আবার কখনও দুর্দান্ত ভাবে সামলে নিয়েছে প্রতিপক্ষের ধাক্কা। তবে এই গোলবন্যা ম্যাচেও নিষ্প্রভ ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি।
ম্যাচ শুরু হতেই সান হোসের দর্শকরা চমকে উঠলেন। প্রথম মিনিটেই মায়ামির ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিয়ানো ফ্যালকন গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। কিন্তু সান হোসের জবাব আসে দ্রুত, মাত্র দুই মিনিট পরেই গোল করেন আরাঙ্গো। শুরুতেই স্কোরলাইন ১-১।
এরপর ম্যাচে রীতিমতো পাল্টাপাল্টি আক্রমণের প্রদর্শনী চলে। ৩৭ মিনিটে বিউ লেরক্সের গোলে সান হোসে এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। তবে বিরতির আগে ৪৪ মিনিটে তাদিও অ্যালেন্ডে সমতা ফেরান (২-২)। অতিরিক্ত সময়ে ইয়ান হার্কস আবারও সান হোসেকে এগিয়ে দেন, ফলে প্রথমার্ধেই দেখা মেলে পাঁচটি গোলের।
আরো পড়ুন:
মায়ামিতে সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ পেলেন মেসি
মেসি গোল করলেই জেতে মায়ামি
বিরতির পর বদলি খেলোয়াড় রদ্রিগেজের পাস থেকে আবারও গোল করেন অ্যালেন্ডে। এটি ছিল তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল। ৫২ মিনিটে গোল করে ম্যাচে আবার সমতা ফেরান (৩-৩)। এরপর উভয় দলই সুযোগ তৈরি করলেও আর বল জালে জড়াতে পারেনি।
লিওনেল মেসির পা থেকে জাদু বের হয়নি এদিন। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও একবারও গোলের দেখা পাননি তিনি। ফ্রি-কিক, ওপেন প্লে কিংবা ডান পায়ের শট—সবকিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সান হোসের গোলরক্ষক দানিয়েল। শেষ মিনিটেও মেসির শটে ডাইভ দিয়ে দলকে রক্ষা করেন এই গোলরক্ষক।
এই ড্রয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ইন্টার মায়ামির পয়েন্ট দাঁড়ায় ২২, অবস্থান চতুর্থ। অপরদিকে, সান হোসে ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ষোলো নম্বরে। শীর্ষে রয়েছে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সিনসিনাটি। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ফিলাডেলফিয়া ও কলম্বাস যথাক্রমে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে।
ঢাকা/আমিনুল