আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, ফরম পূরণ শুরু
Published: 16th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইন ফরম পূরণ শুরু হয়েছে ১৬ মে সকাল ১০টায়। আবেদনের শেষ তারিখ ১ জুন ২০২৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
রেগুলার প্রার্থী কারা
গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই রেগুলার প্রার্থী। তাঁদের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে “Regular Candidate” অপশন নির্বাচন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কন্ট্র্যাক্ট ডেট ও জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করে ধাপে ধাপে প্রোফাইল সাবমিট করতে হবে। প্রাপ্ত ইউজার আইডি সংরক্ষণ করতে হবে, যা দিয়ে পরে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।
আরও পড়ুনরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, মূল বেতন ১২৬০০০ থেকে ২১০০০০ টাকা১৫ মে ২০২৫রিঅ্যাপিয়ার্ড প্রার্থী কারা
যাঁরা ১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন বা অংশ নেননি, তাঁরা রিঅ্যাপিয়ার্ড প্রার্থী। তাঁরা অনলাইনে ফরম পূরণের পাশাপাশি ১ হাজার ৬২০ টাকা পরীক্ষার ফি টেলিটক মোবাইল থেকে দিতে হবে।
ওয়েবসাইটে “Reappeared Candidate” অপশন বেছে নিয়ে নির্ধারিত তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ ও সাবমিট করতে হবে।
SMS এর মাধ্যমে ফি দিতে হবে: ১ম SMS: BAR স্পেস USER ID পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
২য় SMS: BAR স্পেস YES স্পেস PIN পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফি দেওয়া সফল হলে প্রার্থীর মোবাইলে USER ID ও PASSWORD পাঠানো হবে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুনকানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আশ্রয় আবেদনে রেকর্ড, আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা৮ ঘণ্টা আগেঅ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড
২১ জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষা শুরুর দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড কালার প্রিন্ট করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র–সম্পর্কিত তথ্য পরে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সতর্কতা: নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। ফি প্রদানের ও অনলাইন সাবমিশনের সব তথ্য নির্দিষ্ট টেলিটক নম্বর (১৬২২২, ০১৫৫০১৫৫৫৫৫) থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
আরও পড়ুনমহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে নবম গ্রেডে চাকরির সুযোগ১৫ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পটুয়াখালীতে আদালতের এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও আসামিদের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরি সম্পাদক মো. মজিবুল হক বিশ্বাস মামলার আবেদন করলে বিচারক ইসরাত জাহান মৌমি আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর থানা–পুলিশকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের পেশকার মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী আইনজীবী মো. মজিবুল হক বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা আইনজীবীর সমিতির সিদ্ধান্তে তিনি মামলা করেছেন।’
মামলার আরজিতে ঘটনার তারিখ ২৫ জুন উল্লেখ করা হলেও ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ জুন। ওই দিন দুপুরে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান বিএনপিপন্থী একাধিক আইনজীবী। এ সময় আদালতে হাজিরা দিতে আসা আসামিদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পক্ষে–বিপক্ষে বিক্ষোভ ও স্লোগানে আদালত চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২৫ জুন কলাপাড়া উপজেলার একটি মামলার ২১ আসামি পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এজলাসে উপস্থিত হন। এ সময় বিচারক বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে ১৯ জনের জামিন মঞ্জুর ও দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। দুই আসামির জামিন নামঞ্জুরে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমানের উসকানিতে বারান্দায় হট্টগোল সৃষ্টি করেন জামিন পাওয়া আসামিরা। এরপর আইনজীবী নোমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি দেন আসামিরা। এ ছাড়া জামিন পাওয়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে আদালত চত্বরে তাণ্ডব চালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন বহিরাগতরা। পরে আসামিরা আদালত চত্বর–সংলগ্ন জেলা আইনজীবী সমিতিতে ঢুকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে সমিতি ভবনের দরজা–জানালায় আঘাতে হত্যার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্থানীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ২৬ জুন আদালতে হাজিরা দিতে আসা একাধিক আসামিদের মারধর করা হয়। একই কারণে ওই ব্যক্তিদের নামে আজ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ জুনের ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাঁকে নিয়মবহির্ভূত নোটিশ করেন। অথচ ২৬ জুনের ঘটনায় তিনি (জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দীন) জড়িত। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নোটিশে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা রাখেন না বলে তিনি দাবি করেন।