যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়নের চেষ্টার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন গ্যাংসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করতে ট্রাম্প প্রশাসন আইনটি প্রয়োগের চেষ্টা করে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন শীর্ষ আদালত এ আদেশ দিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশের কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বাজে ও বিপজ্জনক দিন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যাপ্ত আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়নের চেষ্টা করায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষারোপ করেছেন। 

১৭৯৮ সালের আইনটি মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে ব্যবহার করা হতো। ট্রাম্প সেই আইন ব্যবহার করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়ন করতে চাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থায় থাকলে বা কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রাসন চালালে কিংবা আগ্রাসনের হুমকি দিলে আইনটি প্রয়োগের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের টার্গেট করা ও তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনটি প্রয়োগ বেমানান।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধের মধ্যে বা হুমকির মুখে নেই। এমন একটি শান্তিপূর্ণ সময়ে আইনটি ব্যবহার করতে চাওয়ার সমালোচনা করেছে বিভিন্ন অধিকার সংগঠন। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়নে স্থগিতাদেশ বহাল রাখতে আবেদন করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তা মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ এপ্রিল ওই ইউনিয়ন সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আবেদন জানায়, যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহারে ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। পরদিন সর্বোচ্চ আদালত টেক্সাসে আটক থাকা কয়েক ডজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বিতাড়নের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। 
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অভিবাসনে কঠোর নীতি আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভেনেজুয়েলার গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় তাঁর প্রশাসন।

ট্রাম্প বলেন, এ আদেশের ফলে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার সুযোগ থাকল না। এই আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। এতে অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশে আরও উৎসাহ পাবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ব যবহ র কর ন আইন

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ