সেই কবে, ১৫০৮ সালে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি তার ‘চোখের সংহিতায়’ প্রথম ধারণা দেন কন্টাক্ট লেন্সের। কেমন ছিল সেটি? তিনি অনুমান করেছিলেন, জলের ভেতর দিয়ে তাকালে মানুষের দৃষ্টি কিছুটা পরিবর্তন হয়। তাই মাথায় এক বাটি জল পরার পরামর্শ দেন। হাস্যকর শোনালেও ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই ছিল। ১৬৩৬ সালে লিওনার্দোর এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে ফরাসি বিজ্ঞানী রেনে দেকার্ত আরেকটি ধারণা প্রস্তাব করেন, তিনি দেখান যে চোখের সঙ্গে একটি জলভরা কাচের নলের সরাসরি সংযোগ ঘটালে দৃষ্টির খানিকটা উন্নতি ঘটে। তাতে অবশ্য চোখের পলক ফেলাটা বাধাগ্রস্ত হয়। তাতে কী? সেটিই ছিল সে যুগের মানুষের কাছে ঢের বেশি। যেহেতু চোখের পৃষ্ঠের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, তাই এখান থেকে কন্টাক্ট লেন্স নামটির উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।
দেকার্তের এই আইডিয়া ব্যবহার করে এখনকার উজ্জ্বল রঙিন কন্টাক্ট লেন্সের নকশা বানানোর ধারণাটি মানুষের মাথায় আসতে শুরু করে আরও প্রায় দুইশ বছর পর থেকে। ১৯৩৯ সালে প্রথম প্লাস্টি কন্টাক্ট লেন্স তৈরি হলো। তারপর আরও পরিবর্তন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সর্বশেষ ২০০২ সালে সিলিকন হাইড্রোজেল কন্টাক্ট লেন্স প্রথম বাজারজাত হলো। এখন তো কন্টাক্ট লেন্স তরুণদের ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে অনেকটা নিত্য ব্যবহার্য পণ্যে পরিণত হয়ে গেছে।
সম্প্রতি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কন্টাক্ট লেন্স বিক্রয় অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হ্যালোয়িনের উৎসবে বিড়াল, জোম্বি, ভ্যাম্পায়ার বা ড্রাকুলা ইত্যাদি চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে সাজাতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নানা রঙের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে অনেকে গুরুতর চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ওয়েবসাইট কিংবা দোকান থেকে কন্টাক্ট লেন্স বিক্রির ব্যাপারে এ সতর্কতা ও কড়াকড়ি আরোপ।
চোখের সমস্যা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক রোগীকে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাও শর্তসাপেক্ষে ও কিছু নিয়মকানুন নিয়মিত অনুসরণের ভিত্তিতে। তবে নিজেকে গ্ল্যামারাস দেখানোর লোভে তরুণ প্রজন্মের অনেকে রঙিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করছেন। ব্যতিক্রম নয় আমাদের দেশও। শূন্য পাওয়ারের নানা রঙের এ লেন্সগুলো খুব সহজেই চেহারায় নিয়ে আসে নাটকীয় পরিবর্তন। প্রিয় মডেল, রক বা ফিল্মস্টারদের অনুকরণে পোশাক ও মেকআপের সঙ্গে মানিয়ে লেন্স পরছেন অনেকে এবং নিজের অজান্তে ডেকে নিয়ে আসছে চোখের বিপদ। লেন্স ব্যবহারে তাই বরাবরই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ লেন্স থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে চোখের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এমনকি জীবাণুর আক্রমণে কর্নিয়ায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে একেবারে অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা।
সাধারণ কন্টাক্ট লেন্সের ওপরে এক ধরনের রং করে রঙিন কন্টাক্ট লেন্স তৈরি করা হয়ে থাকে। কেমিক্যাল জাতীয় রঙিন ওই পদার্থের জন্য অনেকের চোখে এলার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাছাড়া লেন্স পরিষ্কার করার তরলের মধ্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে তা থেকেও চোখে এলার্জি হতে পারে। চোখের কালো মণিতে পানি জমে পরে ঘা হতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি লেন্স খুলে না রাখা হয় তবে দেখা দিতে পারে ইনফেকশন। তাছাড়া মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া লেন্স এবং ঠিকঠাক মতো যত্ন না নেওয়া লেন্স ব্যবহারেও হতে পারে অসুখ।
সাধারণ কন্টাক্ট লেন্সগুলো দিনের বেলা চোখে পরা হয় এবং রাতে ঘুমের আগে নির্দিষ্ট কেসের মধ্যে খুলে রাখা হয়। লেন্সের প্রকারভেদে
১২-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত এ লেন্স পরে থাকা যায়। কয়েকটি বিপত্তির কথা না বললেই
নয় সেগুলো হলো– লেন্স পরা অবস্থায় চোখে ময়লা গেলে বা আঘাত লাগলে এমনকি খুব বেশি রোদ বা তাপে গেলেও চোখে দেখা দিতে পারে জটিলতা। কৃত্রিমতা এড়িয়ে আমরা কি আমাদের অমূল্য চোখ জোড়াকে দিতে পারি না প্রাকৃতিক শান্তি। একটু সচেতনতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর কিছুটা বিশ্রাম। টাটকা-সতেজ শাকসবজি ও ছোট মাছ খাবারের মেন্যুতে রাখা। কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের বিদ্যুৎ চুম্বকীয় আকর্ষণ থেকে সবুজ প্রকৃতির দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে চোখ জোড়াকে একটু প্রশান্তি দিতে পারি না আমরা? u
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ন স ব যবহ র ল ন স পর
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষি বিবর্তনের গল্প বলে যে জাদুঘর
বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির মূলে রয়েছে কৃষি। এই কৃষির বিবর্তনের গল্প, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষের জীবন, প্রযুক্তির বিকাশ এবং গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্য যেন এক অমূল্য উত্তরাধিকার।
সময়ের প্রবাহে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, ভুলে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। সেই হারানো ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও তুলে ধরার প্রয়াসেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি জাদুঘর।
আরো পড়ুন:
জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেলেন বাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী
গোপনে বাকৃবি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে সাবেক ছাত্রকে দিতেন আরেক ছাত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঠিক সামনেই সবুজ দেবদারু গাছে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে এই কৃষি জাদুঘর। প্রকৃতির কোলে যেন কৃষির ইতিহাস কথা বলে এখানে।
২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মু. মুস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে জাদুঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, যার মূল স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হোসেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এর উদ্বোধন করেন।
নানা প্রতিবন্ধকতা ও জনবল সংকটের কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও, ২০০৭ সালের ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁ এটি পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এটি দেশের কৃষি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির এক জীবন্ত সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত।
৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এই অষ্টভুজ আকৃতির ভবনটি স্থাপত্যগত দিক থেকেও দারুণ দৃষ্টিনন্দন। প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে রঙিন মাছের অ্যাকুয়ারিয়াম, পাশে প্রাচীন সাতটি খনার বচন। প্রবেশমুখের ঠিক পরেই দুটি অফিস কক্ষ, আর একটু ভেতরে এগোলেই দেখা যায় একটি ছাদহীন বৃত্তাকার বাগান, যা প্রাকৃতিক আলোর ছোঁয়ায় উজ্জ্বল। সেই বাগানের চারপাশেই রয়েছে সংরক্ষণশালার বিভিন্ন কক্ষ। প্রতিটি কক্ষই যেন কৃষির একেকটি অধ্যায়।
জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো বীজ সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে ধান, গম, ভুট্টা, তিসি, চিনাবাদাম, কাউনধান, ফ্রেঞ্চ বিন, ফাবা বিনসহ নানা ফল ও সবজির বীজ। দেখা মেলে বিরল প্রজাতির তৈকর ফলের বীজ, যা একসময় আচার ও জেলি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। রয়েছে বহুল পরিচিত ভ্যান্না বীজ, যার তৈল দিয়ে কসমেটিক ও ঔষধি পণ্য তৈরি হয়।
মাটির নানা প্রকার নমুনা, প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সার, এমনকি পাহাড়ি চাষাবাদের মডেলও স্থান পেয়েছে এখানে।
শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও দর্শনার্থীদের শিক্ষার জন্য প্রদর্শিত হয়েছে বিভিন্ন ফসল রোগের চিত্র, আক্রান্ত বীজ, ও ব্যাকটেরিয়ার নমুনা। এ অংশের এক বিশেষ আকর্ষণ আড়াই কেজি ওজনের এক বিশাল মিষ্টি আলু, যা দর্শনার্থীদের বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
জাদুঘরের আরেক অংশ যেন এক ক্ষুদ্র প্রাণিবিজ্ঞান জাদুঘর। এখানে প্রদর্শিত আছে বুনো মহিষ, হরিণের শিং, গরু, অজগর ও গোখরা সাপের কংকাল। রয়েছে সংরক্ষিত কালো মেটো ইঁদুর, ধারাই সাপ, এবং কচ্ছপের খোল ও কঙ্কাল।
উপরে তাকালে দেখা যায় এক বিশাল প্রিজার্ভড শকুন, সে যেন আকাশে ডানা মেলে উড়ছে। রয়েছে প্লাটিপাসের কংকালও, যা এক বিরল প্রাণীর বাস্তব নিদর্শন। প্রতিটি নমুনাই যেন দর্শনার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেয়, কৃষি কেবল ফসল বা জমির নয়, এটি প্রকৃতি ও প্রাণের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র্যও এখানে তুলে ধরা হয়েছে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে। এক কক্ষে সাজানো আছে ঢেকি, কুলা, পানের ডাবর, হুকা, হারিকেন, কুপি বাতি, গরুর গাড়ির মডেল, এমনকি মাছ ধরার পুরোনো যন্ত্রও। রয়েছে তবলা, বেহালা, আদুরী, ক্রাম ও নাতকসহ বিভিন্ন দেশীয় বাদ্যযন্ত্র।
এক পাশে দেখা যায় ‘গিলা’, যা একসময় বর-কনের গোসল অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। এখনকার তরুণ প্রজন্ম হয়তো নামটিও জানে না, অথচ এটি ছিল গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ।
আরো রয়েছে কৃষকের বসতবাড়ির পূর্ণাঙ্গ মডেল, যা দেখতে যেন একেবারে বাস্তব কৃষকের ঘর। এখানে দেখা যায় কৃষকের হালচাষের দৃশ্য, রান্নাঘর, ধান রাখার গোলা, গরুর খোঁয়াড় এবং গৃহিণীর সাজানো রান্নার জায়গা। যেন একবারে গ্রামের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে দেয়াল আর মডেলের মধ্যে।
প্রযুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য জাদুঘরে স্থান পেয়েছে পুরনো মাইক্রো কম্পিউটার, ডট প্রিন্টার, পাওয়ার টিলার, ধান মাড়াইয়ের আধুনিক যন্ত্র, ঘাণি, ডিঙি নৌকা, কাঁঠের তৈরি গরুর গাড়ি, তালগাছের কুন্দা ও উপজাতিদের পোশাক। এক পাশে ঝুলছে হরিণের চামড়া, অন্য পাশে সাজানো উপজাতীয় কৃষি উপকরণ, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই উপকরণগুলো কেবল প্রযুক্তির বিবর্তনের ইতিহাস নয়, বরং কৃষির সঙ্গে মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনধারার মেলবন্ধনের প্রতীক।
জাদুঘরের আরেক বিশেষ প্রদর্শনী হলো প্রাচীন থেকে আধুনিক সময়ের মুদ্রার সংগ্রহ। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। এগুলো দেখে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বিকাশ ও সামাজিক পরিবর্তনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
জাদুঘরের প্রতিটি কোণ যেন বলে, কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ। এখানকার প্রতিটি উপকরণ, প্রতিটি মডেল, প্রতিটি নমুনা কৃষির বিকাশ ও মানুষের সংগ্রামের গল্প বহন করে। দর্শনার্থীরা এখানে এসে কৃষির অতীত ঐতিহ্য থেকে বর্তমান প্রযুক্তির রূপান্তর পর্যন্ত এক নজরে দেখতে পান।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “এটি দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে উপকরণসমৃদ্ধ কৃষি জাদুঘর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এটিকে দোতলা ভবনে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে কৃষি ভিত্তিক ১৪টি জেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ভবিষ্যতে টিকিট ব্যবস্থা চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণেও ভূমিকা রাখবে।”
এই কৃষি জাদুঘর শুধু কৃষি উপকরণের প্রদর্শনী নয়, বরং এটি বাংলাদেশের কৃষি সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও মানুষের সম্পর্কের এক সজীব দলিল। শহরের কোলাহল আর কংক্রিটের ভিড় থেকে বেরিয়ে কেউ যদি এখানে আসে, তবে মুহূর্তেই যেন হারিয়ে যায় মাটির গন্ধে, কৃষকের ঘামে, বাংলার গ্রামীণ জীবনের সহজ সরল সৌন্দর্যে।
জাদুঘরটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে এবং প্রতি শনিবার বন্ধ থাকে। সময় সুযোগে একবার ঘুরে গেলে দেখা মিলবে বাংলাদেশের কৃষির হাজার বছরের গল্প, যা মাটি, ঘাম, বীজ আর ঐতিহ্যের বন্ধনে গাঁথা এক অনবদ্য ইতিহাস।
ঢাকা/মেহেদী