ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়েছে। 

রবিবার (১৮ মে) তাকে আটক করা হয়। 

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দরে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ঢাকার ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। তবে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

বিস্তারিত আসছে.

..


 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করলে উপদেষ্টারা বেইমানি করবেন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

অতিসত্বর শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে উপদেষ্টারা তাঁদের শপথের সঙ্গে বেইমানি করবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, শ্রমিকের রক্তের ওপর দিয়ে তাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন।

আজ রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে অবস্থান নেওয়া টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে এ কথা বলেন নাসীরুদ্দীন।

বেতন–বোনাসের দাবিতে দীর্ঘদিন শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় এসেছিল, তাদের দাবি পূরণ হয়েছে। অথচ শ্রমিক ভাইয়েরা এখানে দুই মাস রাজপথে বসে আছে, সরকারের কোনো মহলের তাদের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ কেমন রাষ্ট্র? এই রাষ্ট্র তো আমরা চাই না। শ্রমিকেরা রাস্তায় বসে থাকবে আর মালিকপক্ষ খিলখিলিয়ে হেসে শ্রম মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে বেড়াবে।’

শ্রমিকদের উদ্দেশে এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘সংবিধানে আপনার কোনো ন্যায্য মজুরির কথা নেই। আপনাদের সন্তান কেমন পড়াশোনা করবে, সেটার কথা নেই। আপনাদের কোনো অধিকারের কথা নেই। এই সংবিধান যদি না পাল্টাতে পারেন তাহলে যত দিন আপনি বেঁচে থাকবেন, আপনার সন্তানের কোনো ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে নেই।’

শ্রমিকনেতা মো. সুমন বলেন, টিএনজেড গ্রুপের কাছে শ্রমিকদের পাওনা ৫৪ কোটি টাকা। গত ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রতিজন শ্রমিক ৯ হাজার ১০০ টাকা করে পান। বাকি টাকা গত মাসের ৮ তারিখে দেওয়ার কথা ছিল। পাঁচ হাজার শ্রমিক সাত দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, টিএনজেড গ্রুপের মালিকের গাজীপুরে অনেক সম্পদ রয়েছে। তাঁর চাইলে ৫ হাজার ২০০ শ্রমিকের বেতন–বোনাস পরিশোধ করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা তা না করে টালবাহানা করছেন।

এই শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গত রোববার (১১ মে) থেকে আমরা টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এবার আর সরকারকে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা হবে না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

১১ মে থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ