মাগুরার শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাল এমজেএফ
Published: 18th, May 2025 GMT
মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। শিশুটির পরিবার প্রতিশোধমূলক হামলার যে আশঙ্কা করছে, তা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি ও অলাভজনক এই সংস্থা। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে নিহত শিশুটির ১৪ বছর বয়সী বড় বোন, যে নিজেও বাল্যবিবাহের শিকার, তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির সদস্য। শিশুটির পরিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে হুমকি ও সহিংসতার আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আদালত মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দিয়েছেন এবং অন্যান্য অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য বাড়তি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাহীন আনাম আরও বলেন, ‘শিশুটির পরিবার যে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তা কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত না। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই, যাতে এই পরিবার আর কোনো সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানির শিকার না হয়।’
আরও পড়ুনতিন আসামির খালাসের রায়ে সন্তুষ্ট নন শিশুটির মা১৭ মে ২০২৫মাগুরার ঘটনাটি দেশের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতির একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, মাত্র ১৪ বছর বয়সেই একটি মেয়ের বিয়ে হওয়া এবং মেয়েটির বোনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া এ দেশের শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহের মতো গুরুতর সমস্যাগুলোর প্রমাণ বহন করে। এসব অপরাধ প্রতিরোধে এবং দেশের প্রতিটি মেয়েশিশুর নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করতে কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। এমজেএফ নিহত শিশুটির পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিচার, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ শ ট র পর ব র পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় শ্বশুরবাড়িকে গুদাম বানিয়ে ৫০০ বস্তা চাল মজুত ব্যবসায়ীর
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নিমতলী গ্রামে শ্বশুরবাড়িকে আতপ চালের গোপন গুদামে পরিণত করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিচালিত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫০০ বস্তা আতপ চাল জব্দ করা হয়। বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় চাল মজুতকে অবৈধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযান পরিচালনা করেন বদলগাছী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘চাল মজুতের বৈধতা নিশ্চিত করতে অভিযানে যাই। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এগুলো জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে চালগুলো বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবলু নামের এক ব্যবসায়ী তার শ্বশুর জাহিদুল ইসলামের বাড়িকে মজুতঘরে রূপান্তর করে দীর্ঘদিন ধরে আতপ চাল মজুত করে আসছিলেন। বাইরের দৃষ্টিতে এটি একটি সাধারণ বসতবাড়ি হলেও ভেতরে তৈরি করা হয়েছিল একটি গোপন গুদামঘর।
জানা গেছে, শিবলুর মূল ব্যবসা কীটনাশক বিক্রি হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক লাভের আশায় তিনি এই মজুত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। আতপ চালের প্রতিটি বস্তা ছিল উন্নত জাতের, যা স্থানীয় বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি হতো।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ৫০০ বস্তা আতপ চাল সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা খাদ্য বিভাগ, বদলগাছী থানা পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন অভিযান আরও জোরদার করা দরকার।