মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। শিশুটির পরিবার প্রতিশোধমূলক হামলার যে আশঙ্কা করছে, তা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি ও অলাভজনক এই সংস্থা। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে নিহত শিশুটির ১৪ বছর বয়সী বড় বোন, যে নিজেও বাল্যবিবাহের শিকার, তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির সদস্য। শিশুটির পরিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে হুমকি ও সহিংসতার আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আদালত মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দিয়েছেন এবং অন্যান্য অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য বাড়তি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাহীন আনাম আরও বলেন, ‘শিশুটির পরিবার যে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তা কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত না। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই, যাতে এই পরিবার আর কোনো সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানির শিকার না হয়।’

আরও পড়ুনতিন আসামির খালাসের রায়ে সন্তুষ্ট নন শিশুটির মা১৭ মে ২০২৫

মাগুরার ঘটনাটি দেশের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতির একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, মাত্র ১৪ বছর বয়সেই একটি মেয়ের বিয়ে হওয়া এবং মেয়েটির বোনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া এ দেশের শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহের মতো গুরুতর সমস্যাগুলোর প্রমাণ বহন করে। এসব অপরাধ প্রতিরোধে এবং দেশের প্রতিটি মেয়েশিশুর নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করতে কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। এমজেএফ নিহত শিশুটির পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিচার, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ শ ট র পর ব র পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ