বগুড়ার সোনাতলায় রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি
Published: 19th, May 2025 GMT
বগুড়ার সোনাতলার গোসাইবাড়ি এলাকার রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে রাস্তা সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তাতে দুর্ভোগ বাড়ছে ও দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে খুঁটিটি সড়ানোর জন্য এলাকাবাসী ধরনা দিলে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এলজিইডি বিভাগ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এক বিভাগ আরেক বিভাগের ওপর এ দায় চাপাচ্ছে।
সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়গাছা ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গোসাইবাড়ী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত ৩০০ মিটার এই রাস্তা সম্প্রতি কার্পেটিং করা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুৎ খুঁটি রেখেই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা হলেও খুঁটিটি সরানো হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার মাঝখানে খুঁটি রেখে রাস্তা সংস্কার করায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে করে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত প্রায় সাত বছর আগে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি সিমেন্টের বৈদ্যুতিক খুঁটিটি স্থাপন করে। খুঁটিটি স্থাপনের পর থেকে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের পরিবহণ ও পথচারীদের চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি রাতের অন্ধকারে ঘটছে দুর্ঘটনা। পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে খুঁটিটি স্থানান্তরের আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি।
স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুল হান্নান বলেন, বৈদ্যুতিক এই খুঁটির কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খুঁটিটি সরাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। রাস্তার মাঝখানে খুঁটি রেখেই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে।
রাস্তার ঠিকাদার সাব্বির আহম্মেদ বলেন, রাস্তার কাজের মধ্যে খুঁটি সরানোর কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ তাই বিদ্যুৎ বিভাগকে বলার পরেও খুঁটি না সরানোয় ওই অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে।
সোনাতলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সাইফুল আহম্মদ বলেন, এলজিইডি’র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে কোন কিছু এখনও জানানো হয়নি। জানালে খুঁটিটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। সেক্ষেত্রে খুঁটিটি স্থানান্তরের জন্য আর্থিক বিষয় রয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি কার্পেটিং হচ্ছে সেই প্রকল্প থেকে খুঁটিটি স্থানান্তরের ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।
সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, যে প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি কার্পেটিং হচ্ছে, সেখানে খুঁটি স্থানান্তরের কোনো অর্থ ধরা হয়নি। খুঁটিটি স্থানান্তর করতে হলে স্থানীয়দের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম