নোয়াম চমস্কিকে শুধু ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে চেনা যথেষ্ট নয়। তিনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিশ্বমানবতার বিবেক হয়ে উঠেছেন বহু আগেই। গত শতকের ষাটের দশক থেকে সক্রিয় ও স্পষ্টভাষী এই রাজনৈতিক সমালোচক বরাবরই প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, সাম্রাজ্যবাদ, যুদ্ধ ও সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাত নিয়ে। চমস্কি মনে করেন, ‘ফর দ্য পাওয়ারফুল, ক্রাইমস আর দোজ দ্যাট আদারস কমিট’। ন্যায়ের সংজ্ঞা যদি পক্ষবিশেষ নির্ধারণ করে, তাহলে তা আর ন্যায় থাকে না, বরং হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতির বাহন।

চমস্কির মতে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এক প্রকার বিকৃত নৈতিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর জন্য এক সেট নীতি, আর দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর জন্য আরেক। এই দ্বিচারিতা প্রবলভাবে প্রতিফলিত ইরান-ইসরায়েল সংকটে। একদিকে ইসরায়েল নিজেকে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তি হিসেবে গোপনে রাখে এবং পশ্চিমা বিশ্ব তার অস্ত্রভান্ডার নিয়ে নীরব। অপরদিকে ইরান শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করলেও তাকে ‘বিশ্বশান্তির হুমকি’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। চমস্কি বলেন, আমরা যখন ‘সন্ত্রাস’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করি, তখন সতর্ক হওয়া দরকার যে কারা এটা সংজ্ঞায়িত করছে।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শত্রুতা হঠাৎ তৈরি হয়নি। চমস্কি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটিয়ে পশ্চিমা মদদপুষ্ট শাহকে পুনরায় ক্ষমতায় বসিয়েছিল। এই হস্তক্ষেপ ইরানিদের মনে গভীর রাজনৈতিক ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লব কেবল শাসক পরিবর্তন নয়; বরং ছিল ভূরাজনৈতিক স্বাধীনতার নামান্তর। চমস্কির মতে, বিপ্লব-পরবর্তী ইরান স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে গিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের শত্রুতে পরিণত হয়।
এই শত্রুতার সবচেয়ে বড় কাঁটা হয়ে ওঠে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। ২০১৫ সালের ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ চুক্তি চমস্কির দৃষ্টিতে ছিল কূটনৈতিক সমঝোতার ইতিবাচক নজির। ইরান এই চুক্তির আওতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করে, পরিদর্শকদের ঢুকতে দেয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মেনে নেয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন একতরফা চুক্তিটি বাতিল এবং ইরানকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই ঘটনাকে চমস্কি বলেন ‘কৃত্রিম সংকট তৈরির ধ্রুপদি উদাহরণ’। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রই প্রথমে চুক্তি ভঙ্গ করে সৃষ্ট সংকটের দায় চাপায় ইরানের ওপর। আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেই বয়ানকেই নিরীক্ষাহীনভাবে গ্রহণ করে।

চমস্কি আরও দেখান, কেবল নিষেধাজ্ঞা আরোপই নয়; ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ইরানে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে; ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে। এমনকি সামরিক হামলার হুমকিও দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। অথচ পশ্চিমা প্রচারে ঘটনাগুলো আত্মরক্ষার পদক্ষেপ বলে বৈধতা পায়। চমস্কির ভাষায়, মার্কিন নীতির মৌল ভিত্তিই হলো– নিজেরা করলে বৈধ, অন্য কেউ করলে অপরাধ।
ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার আন্তর্জাতিকভাবে ওপেন সিক্রেট হলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনও সেটি স্বীকার করে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কোনো রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি-এনপিটি স্বাক্ষর না করলে তাকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বেআইনি। ইসরায়েল এনপিটি স্বাক্ষর করেনি। তাই পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা বন্ধ করতে হয়। আইনি ফাঁক এড়াতে চমস্কির ভাষায়– ‘দ্য পলিসি ইজ: ডোন্ট আস্ক, ডোন্ট টেল’।

চমস্কির মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য অন্যতম কার্যকর ও ন্যায্য উপায় হতে পারে গোটা অঞ্চলকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত ঘোষণা। ইরান একাধিকবার এই প্রস্তাব দিয়েছে; আরব রাষ্ট্রগুলোরও দীর্ঘদিনের দাবি; জি৭৭ গোষ্ঠীর দেশগুলোও এ প্রস্তাবকে সমর্থন করে। কিন্তু এ উদ্যোগ বারবার ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতায়। চমস্কির প্রশ্ন, যদি বিশ্বশান্তিই উদ্দেশ্য হয়, তবে কেন দুই রাষ্ট্রই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে বাধা দিচ্ছে?
‘ন্যায্য যুদ্ধতত্ত্ব’ সম্পর্কে চমস্কির মত– এটি এক ধরনের মতামতভিত্তিক কাঠামো, যা বাস্তবে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। তিনি মনে করেন, আফগানিস্তান বা ইরাক যুদ্ধকে পশ্চিমা বয়ানে ‘ন্যায্য’ বলা হলেও আসলে আগ্রাসনেরই পরিপাটি কেস স্টাডি।

ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায়; পশ্চিমা বয়ানে সেটা ‘প্রি-এম্পটিভ’ বা কল্পিত বিপদের আশঙ্কা থেকে আঘাত। অথচ জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আত্মরক্ষা কেবল তখনই বৈধ, যখন আগ্রাসন বাস্তবে সংঘটিত হয়। চমস্কির মতে, প্রি-এম্পটিভ আঘাত প্রতিরক্ষা নয়; আগ্রাসন।
ইরান বর্তমানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক অবরোধ, সাইবার আক্রমণ ও সামরিক হুমকির মুখে। চমস্কি প্রশ্ন করেন– ‘তাহলে কি ইরানেরও অধিকার আছে পাল্টা প্রতিরোধমূলক হামলা চালানোর?’ তাৎক্ষণিক সেটি অগ্রহণযোগ্য আখ্যা পায়। এই অসামঞ্জস্যই চমস্কির মতে আধুনিক নীতিবোধের বিপর্যয়। তাঁর মতে, যদি ইসরায়েলের উদ্বেগ বৈধ হয়, তবে ইরানের উদ্বেগও সমানভাবে ন্যায্য।
চূড়ান্তভাবে চমস্কি যুদ্ধ নয়; শান্তি ও সংলাপের পথকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষপাতী। তিনি বলেন, হয় আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে হবে, না হয় আমরাই বিলুপ্তির মুখোমুখি হবো। তাঁর অবস্থান, সব রাষ্ট্রকেই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে– বন্ধু হোক বা শত্রু। এই অবস্থান নিছক নীতিকথা নয়; বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বের প্রতি জরুরি আবেদন।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত রাজনৈতিক হলেও গভীর নৈতিক সংকটও বটে। এই সংকটে কেবল পারমাণবিক অস্ত্র নয়, সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্ন জড়িত। চমস্কি বিশ্বাস করেন, সত্যিকারের শান্তি তখনই সম্ভব, যখন আমরা দ্বিচারিতা পরিহার করে প্রত্যেক মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও জীবনের গুরুত্ব সমানভাবে বিবেচনা করব; হোক সে ইরানি কিংবা ইসরায়েলি।

সাঈফ ইবনে রফিক: কবি ও সাংবাদিক
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ষ ট রগ ল র য ক তর ষ ট র ইসর য় ল র র জন ত ক ও য ক তর র জন য ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।  

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।” 

শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। 

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। 

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী। 

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। 

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা। 

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ