গুগলের ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের জন্য আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন ‘গুগল আই/ও ২০২৫’ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে এ আয়োজন। দুই দিনের এ সম্মেলনে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই, ডিপমাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেমিস হাসাবিসসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ঘোষণা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের সম্মেলনে গুগলের জেমিনিসহ বিভিন্ন এআই প্রযুক্তি নিয়েই মূলত বেশি আলোচনা করা হবে। আর তাই সম্মেলনে জেমিনির হালনাগাদ সংস্করণ উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গুগলের অন্যান্য এআই প্রকল্প যেমন ডিপমাইন্ডের প্রজেক্ট অ্যাস্ট্রা, লার্নএলএম এবং আরও কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। সম্মেলনে স্যামসাংয়ের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা এক্সআর হেডসেটের একটি নমুনা দেখানো হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। হেডসেটটি অ্যাপলের ভিশন প্রোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাজারে আসতে পারে বছরের শেষ নাগাদ।

এবারের সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে বড় কোনো ঘোষণা না–ও আসতে পারে। এর বদলে জিমেইল, গুগল ক্রোম, গুগল প্লে স্টোর এবং ক্লাউড প্রযুক্তিসহ এআই-নির্ভর বিভিন্ন সেবার ঘোষণা দিতে পারে গুগল। আর তাই সম্মেলনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সারা বিশ্বের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ও ব্যবহারকারীরা।

যেভাবে অনলাইনে দেখা যাবে

বরাবরের মতোই রীতি মেনে এবারও গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হবে সম্মেলন। এরপরই হবে ডেভেলপারদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ডিপমাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেমিস হাসাবিস ডিপমাইন্ডের তৈরি এআই প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় আলোচনা করবেন। সম্মেলনের পাশাপাশি একাধিক বিষয়ভিত্তিক সেশনও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেশন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে গুগলের ইউটিউব চ্যানেলে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি রাজার আসন পেয়ে যাবো: অঞ্জনা

অনেক মানুষ বিয়েকে ক্যারিয়ারের জন্য বাধা মনে করেন। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের কারণে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতের দাপুটে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু পড়ালেখা করেছেন মনোবিদ্যা নিয়ে। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় অঞ্জনার, এরপর পড়ালেখারও ইতি টানেন তিনি। স্বামী সুমন্ত্র বসুর সঙ্গে তিনি চলে যান পাটনায়। এরপর জন্ম হয় তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান অরিত্রর। সংসারে মনোযোগী হন অঞ্জনা।

ছেলে একটু বড় হওয়ার পরে অভিনয়ে মনোযোগ দেন অঞ্জনা। প্রথমে মডেলিং এরপর ছোটপর্দা তারপর বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘রাত বারোটা পাঁচ’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে বাই বাই ব্যাংকক, ল্যাপটপ, ব্যোমকেশ ফিরে এলো, অভিমান, কিশমিশ অপরাজিত ইত্যাদি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।

অঞ্জনার ক্যারিয়ার যেমন এগিয়েছে তেমনি ছেলেও ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। অঞ্জনার ছেলে অরিত্র বিদেশে লেখাপড়া করছে। তবে দেশে আসলে মায়ের সঙ্গে হাজির হন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সঙ্গে থাকেন অঞ্জনার স্বামীও। অঞ্জনা প্রমাণ করেছেন, বিয়ে, সন্তানের পরেও চাইলে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়। 

আরো পড়ুন:

কারিনা যে কারণে পাকিস্তানে যেতে চান

মিথিলা সম্পর্কে চমকপ্রদ ৬ তথ্য

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, সংসার কখনও ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করেনি? অঞ্জনার সোজাসুজি উত্তর ‘‘বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি একেবারে বিরাট রাজার আসন পেয়ে যাবো? রাজার আসন কেউ সাজিয়ে রেখে বলবে যে— তুমি বিয়েটা ভাঙলেই ওই আসনে গিয়ে বসতে পারবা। না তো! আমি আজকে প্রচণ্ড স্ট্রাগল করছি, আর পারছি না, বিয়েটা ভেঙে দিলাম, কালকে থেকে কী আমি একটা স্মুথ গোলাপ ছড়ানো রাস্তায় হাঁটবো? কালকেউ তো আরেকটা অন্য ধরণের স্ট্রাগলিং লাইফ।’’

এতে বোঝা যায়, বিয়েকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র বাঁধা মনে করেন না অঞ্জনা। তিনি মনে করেন মানুষের স্ট্রাগল শেষ হয় না। হয়তো সম্পর্ক বদলে নিলে স্ট্রাগল বদলে যায়। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ