জুলাই অভ্যুত্থানে আহত আরও ৭ জনকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হলো
Published: 20th, May 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত আরও সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁদের থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, যে সাতজনকে আজ পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন মো.
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহত সাতজনের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে, তিনজন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এবং দুজন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের কারও দেহে এখনো বুলেট আছে। কেউ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সবাই স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং অত্যন্ত কষ্টে জীবন যাপন করছেন।
আরও পড়ুনজুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা–অনুদান দেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়১২ ডিসেম্বর ২০২৪বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ নিয়ে মোট ৪৭ জন আহত যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হলো। তাঁদের অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে ইতিমধ্যে দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুনগণ–অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ২৫ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট্রাল রোডে তরুণকে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল, ভুক্তভোগী বিএনপির কর্মী
জনবহুল সড়কে গাড়ি চলছে, পথচারারীরাও হাঁটছেন, এমন একটি সড়কে ধারালো অস্ত্র হাতে তিনজন মিলে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছেন। কোপানোর পর এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত রোববার রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলির প্রবেশমুখে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম সাইফ হোসেন মুন্না। তিনি কলাবাগান থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির একজন কর্মী। তিনি এখন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সাইফ হোসেনের গতি রোধ করেন মামুন নামের এক ব্যক্তি। তখন মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে আসেন এম সি শুভ ও রানা নামের দুজন। আরেকটি মোটরসাইকেলে আসেন মোবারক নামের একজন। সাইফকে ওপরে তুলে মাটিতে ফেলে দেন মামুন। আর শুভ মোটরসাইকেল থেকে নেমে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। পরে তাঁর সঙ্গে আরও দুজন যুক্ত হন। কোপানোর পর দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পুলিশের নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। কোপানোর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।