মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফয়সাল (৪৫)। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল এলাকার বাসিন্দা ও গোল্ডেন লাইন বাসের চালক।

আরও পড়ুনঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে বাসের ধাক্কায় ৫ জন নিহত০৮ মে ২০২৫

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ৮ মে দুর্ঘটনাটির পরপরই বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও চালকের সহকারী সাইফুল ইসলামকে (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন চালক ফয়সাল পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৮ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোজিনা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে ওই নারীর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদসহ কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে পৌঁছালে চাকা ফেটে হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচলের জন্য কাজ করছিলেন চালক। ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পাশেই অবস্থান করছিলেন যাত্রীদের কয়েকজন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রোজিনার শাশুড়ি শাহেদা বেগম (৫৮)। আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ রোজিনার অন্য স্বজনেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোজিনার শ্বশুর আবদুস সামাদ ফকির (৬৫), স্বামী হাফেজ বিল্লাল (৩৬), ননদ হাফেজা আফসানা (২৪) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুবকে (২৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনার পরদিন বাসটির চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজারসহ তিনজনকে আসামি করে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করেন রোজিনার মামাশ্বশুর সারোয়ার শেখ।

আরও পড়ুনঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার গ্রেপ্তার০৮ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স র চ লক চ লক র ল এল ক র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই পরিবর্তনে কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ 

কলম্বোয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বোলাররা ২৪৫ রানের লক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন। ১ উইকেটে বাংলাদেশ ১০০ রানও করে ফেলেছিল। কিন্তু হুট করে ব্যাটিং ধসে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মেহেদী মিরাজদের।

যার দায় ব্যাটারদের দিকেই যাবে। এমনকি দলের পক্ষে সর্বাধিক ৬২ রান তানজিদ তামিম ম্যাচ শেষে নিজে সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে না পেরে, দলের প্রয়োজনের সময় আউট হয়ে নিজের কাঁধে দায় নিয়েছেন। সেখানে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজদের পক্ষে ঢাল ধরার কোন সুযোগই নেই।

তারপরও সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অপরিবর্তিত থাকতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ওপেনিংয়ে তানজিদ ও পারভেজ ইমনের জুটির সঙ্গে টপ অর্ডারে নাজমুল শান্ত একাদশে থাকবেন। লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজের কাঁধে থাকবে মিডল অর্ডারের দায়িত্ব।

ব্যাটিং অর্ডার একই থাকলেও বোলিং আক্রমণে আসতে পারে দুই পরিবর্তন। পেসার তাসকিন আহমেদ দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের একাদশে নাও থাকতে পারেন। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরায় মেডিকেল বিভাগের  পরামর্শে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। একাদশে ফেরানো হতে পারে শেষ ম্যাচে।

তার সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আসতে পারে পরিবর্তন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন একাদশে ঢুকবেন। তাকে জায়গা করে দিতে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বেঞ্চে বসতে হতে পারে। অবশ্য কলম্বোর উইকেট বেশি স্পিন বান্ধব মনে হলে টিম ম্যানেজমেন্ট তিন স্পিনার ও দুই পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা একই একাদশ নিয়ে নামতে পারে। কলম্বোয় থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। উইকেট ও কন্ডিশনের চাওয়া বিবেচনা করে একাদশে এক পরিবর্তন আনতে পারে লঙ্কানরাও। পেস অলরাউন্ডার মিলান রত্নায়েকের জায়গায় একাদশে ঢুকতে পারেন দুনিথ ভেল্লালাগে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ: নিশান মাদুষ্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথা আশালঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, মিলান রত্নায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, ইশান মালিঙ্কা, আসিথা ফার্নান্দো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ