এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
Published: 20th, May 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফয়সাল (৪৫)। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল এলাকার বাসিন্দা ও গোল্ডেন লাইন বাসের চালক।
আরও পড়ুনঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে বাসের ধাক্কায় ৫ জন নিহত০৮ মে ২০২৫বিষয়টি নিশ্চিত করে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ৮ মে দুর্ঘটনাটির পরপরই বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও চালকের সহকারী সাইফুল ইসলামকে (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন চালক ফয়সাল পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোজিনা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে ওই নারীর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদসহ কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে পৌঁছালে চাকা ফেটে হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচলের জন্য কাজ করছিলেন চালক। ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পাশেই অবস্থান করছিলেন যাত্রীদের কয়েকজন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রোজিনার শাশুড়ি শাহেদা বেগম (৫৮)। আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ রোজিনার অন্য স্বজনেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোজিনার শ্বশুর আবদুস সামাদ ফকির (৬৫), স্বামী হাফেজ বিল্লাল (৩৬), ননদ হাফেজা আফসানা (২৪) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুবকে (২৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনার পরদিন বাসটির চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজারসহ তিনজনকে আসামি করে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করেন রোজিনার মামাশ্বশুর সারোয়ার শেখ।
আরও পড়ুনঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার গ্রেপ্তার০৮ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স র চ লক চ লক র ল এল ক র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’