ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পর তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলো বিভাজন ও নোংরা রাজনীতি করছে। কিছু সংগঠন তাঁকে নিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের বাজে ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে। তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাহরিয়ারের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মশিউর আমিন শুভ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক দলাদলি তাঁদের আশাহত করেছে। তাঁদের প্রত্যাশা, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। তা ছাড়া যে কুচক্রী মহল তাঁর চরিত্র হননের কাজ করছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আরেক শিক্ষার্থী সোহেল রানা সাব্বির পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। তাঁরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখবেন। তাঁরা যদি তদন্ত কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হতে না পারেন, যদি মূল খুনিদের বৃহস্পতিবারে মধ্যে ধরা না হয়, তাহলে তাঁরা পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর লংমার্চ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—শাহরিয়ার হত্যায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে জনসম্মুখে নিয়ে আসা। হত্যাকাণ্ডের স্থানের আশপাশের এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা। আসামি ধরার ক্ষেত্রে গাফিলতির জবাবদিহি করা। শাহবাগ থানার পাশে গড়ে ওঠা অস্ত্র-মাদকের সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে আরও তৎপর হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত-বিচারের নিয়মিত ফলোআপ নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ তৎপর থাকা। বিচার নিশ্চিতকরণে কমিটি করা। ক্যাম্পাসসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরিয়ারকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি ও চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে, অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পর তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলো বিভাজন ও নোংরা রাজনীতি করছে। কিছু সংগঠন তাঁকে নিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের বাজে ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে। তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাহরিয়ারের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মশিউর আমিন শুভ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক দলাদলি তাঁদের আশাহত করেছে। তাঁদের প্রত্যাশা, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। তা ছাড়া যে কুচক্রী মহল তাঁর চরিত্র হননের কাজ করছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আরেক শিক্ষার্থী সোহেল রানা সাব্বির পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। তাঁরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখবেন। তাঁরা যদি তদন্ত কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হতে না পারেন, যদি মূল খুনিদের বৃহস্পতিবারে মধ্যে ধরা না হয়, তাহলে তাঁরা পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর লংমার্চ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—শাহরিয়ার হত্যায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে জনসম্মুখে নিয়ে আসা। হত্যাকাণ্ডের স্থানের আশপাশের এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা। আসামি ধরার ক্ষেত্রে গাফিলতির জবাবদিহি করা। শাহবাগ থানার পাশে গড়ে ওঠা অস্ত্র-মাদকের সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে আরও তৎপর হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত-বিচারের নিয়মিত ফলোআপ নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ তৎপর থাকা। বিচার নিশ্চিতকরণে কমিটি করা। ক্যাম্পাসসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ