গাজায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে
Published: 20th, May 2025 GMT
অবরুদ্ধ গাজায় সময়মতো সাহায্য না পৌঁছালে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার মঙ্গলবার বিবিসির রেডিও ৪-এর টুডে’স প্রোগ্রামে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের শুরুতে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়। তবে গত মার্চ মাসের মধ্যভাগ থেকে গাজায় আবারো অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর গত দুই মাস ধরে সেখানে খাদ্য, ওষুধ সহ জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছিল, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বসবাসরত প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
আসন্ন দুর্ভিক্ষের কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রবিবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করতে বাধ্য হন যে তিনি গাজায় ‘খাদ্য সংকট’ রোধ করতে ১১ সপ্তাহের ত্রাণ অবরোধ শিথিল করবেন - তবে তা কেবল ন্যূনতম পর্যায়ের হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান ফ্লেচার জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) পাঁচটি ট্রাক সাহায্য গাজায় পৌঁছেছে, কিন্তু এটিকে সমুদ্রের মধ্যে এক ফোঁটা’ পানি ফেলা এবং জনসংখ্যার চাহিদার জন্য সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি জানান, শিশু খাদ্য এবং ত্রাণবোঝাই লরিগুলো প্রযুক্তিগতভাবে গাজায় রয়েছে কিন্তু সীমান্তের ঠিক ওপারে অবস্থিত হওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছায়নি।
ময়মতো সাহায্য না পৌঁছালে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে উল্লেখ করে ফ্লেচার বলেন, “আমি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যতটা সম্ভব এই ১৪ হাজার শিশুকে বাঁচাতে চাই।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৪ হ জ র শ শ ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভুয়া অ্যাপ শনাক্তে গুগল পরিষেবা
বহুমাত্রিক কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই নতুন কিছু অ্যাপ ডাউনলোডের প্রয়োজন সামনে আসে। অনেকেই হুট করে আগে-পরে কিছু না ভেবে ঝুঁকে পড়েন অ্যাপ ডাউনলোডে। জনপ্রিয় কোনো অ্যাপের নাম দিয়ে প্লে স্টোরে সার্চ করলে দৃশ্যমান হয় অনেক অ্যাপ। সবকটির নাম হয় কাছাকাছি ধরনের। যার মধ্যে অনেক থার্ড পার্টি ফেক অ্যাপ থাকে ছড়ানো। ডিভাইসে ডাউনলোড করার সময়ে ফেক থার্ড পার্টি অ্যাপ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কিনা, তা যাচাই করা প্রয়োজন। প্রথমে যে অ্যাপ ডাউনলোড করা প্রয়োজন, তার ডেভেলপারের নাম আগে জেনে নিতে হবে। অনেক সময়ে কোনো অ্যাপ সার্চ করার ক্ষেত্রে পরিচিত নামে অনেক অ্যাপ সামনে আসে।
সে ক্ষেত্রে কোনো অ্যাপের নাম ও ডেসক্রিপশন যাচাই করা প্রয়োজন। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যে কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার ডাউনলোড কাউন্ট, রিভিউ ও রেটিং যাচাই করে নেওয়া শ্রেয়।
নির্বাচিত অ্যাপ কবে প্রকাশ পেয়েছে, তা জানা জরুরি। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে স্ক্রিনশট দেখে নিতে হবে। সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। তা ছাড়া যে কোনো অ্যাপ ডিভাইসে কী কী অনুমতি (পারমিশন) চাইছে, তা তাৎক্ষণিক যাচাই করলে ক্ষতিকর অ্যাপ সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন। কোনো অ্যাপ নিজের ডিভাইসে অপ্রয়োজনীয় ক্যামেরা, অডিও, লোকেশন, ফোনকল বা অন্য কিছুতে প্রবেশাধিকার চাইলে তা ভুয়া বলে বিবেচিত হবে। কারণ, ওই সব অ্যাপ দিয়েই সাইবার প্রতারণার সুযোগ নেওয়া হয়।
গুগল প্লে প্রোটেক্টের সহায়তায় অ্যাপ ও ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। সে জন্য প্লে স্টোর অ্যাপে প্রোফাইল আইকনে গিয়ে প্লে প্রোটেক্ট ট্যাপ করে সেটিংসে প্লে প্রোটেক্ট দিয়ে স্ক্যান অ্যাপে যাচাই করে নেবেন। ডিভাইসটি ভেরিফাই সার্টিফাইড করতে পারেন। এমন কাজে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ খুলতে হবে। ওপরের ডানদিকে প্রোফাইল আইকনে গিয়ে সেটিংস থেকে ডিভাইসটি প্লে প্রোটেক্ট সার্টিফাইড কিনা, যাচাই করতে হবে। ডাউনলোড করার আগে ওই অ্যাপের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
সার্চে পাওয়া অ্যাপে বানানে ভুল পেলে তা ক্ষতিকর হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। প্রকৃত অ্যাপে কোনো ভুল থাকে না। তবে ক্ষতিকর অ্যাপের লোগো কিন্তু প্রকৃত অ্যাপের মতো হুবহু ডিজাইন করা হয়। বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ কিন্তু থেকেই যায়।