Prothomalo:
2025-07-09@09:34:59 GMT

আন্তর্জাতিক চা দিবস

Published: 21st, May 2025 GMT

ধারণা করা হয়, চায়ের উৎপত্তি উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর মিয়ানমার কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে। কিন্তু ঠিক কোন স্থানে প্রথম চা–গাছ জন্মেছিল, তা জানা যায় না। তবে পানীয় হিসেবে চায়ের ব্যবহার নিয়ে একটি চৈনিক কিংবদন্তি আছে। চৈনিক পুরাণমতে, ঘটনাটি প্রায় ২৭৩৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের। তৎকালীন চীন সম্রাট শেন নাং তাঁর ভৃত্যকে পানীয় জলের জন্য পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে বললেন। ভৃত্য যখন পানি গরম করছিল, তখন আশপাশের কোথাও থেকে চা–পাতা উড়ে এসে পড়ে ফুটন্ত পানিতে। সঙ্গে সঙ্গে সেই পানি হালকা বাদামি রং ধারণ করল এবং একটা মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। সম্রাট সেই গন্ধ নিলেন এবং কৌতূহলী হয়ে তা পান করলেন। মুহূর্তে শরীর চাঙা হয়ে উঠল। তিনি এর স্বাদে ও গুণে মুগ্ধ হলেন। এভাবেই নাকি পানীয় হিসেবে চা মানুষের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়ে ওঠে। 

এটি নিতান্তই পুরোনো গল্প। তবে সন্দেহ নেই, প্রিয় পানীয় হিসেবে চা বহুকাল ধরে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রমাণসিদ্ধ তথ্যমতে, ৫ হাজার বছর আগে চীন দেশের মানুষ প্রথম চা পান শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চায়ের আবেদন বেড়েছে এবং বাড়ছে। বর্তমানে পানির পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পান করা পানীয় হচ্ছে চা। 

২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়। স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে চায়ের অবদান তুলে ধরতেই এই দিবসের চল হয়েছে। বর্তমানে চা খুব অল্প কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে চাষ করা হয় এবং এটি ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষের জীবনধারণের উৎস, যাঁদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র চাষি ও তাঁদের পরিবার। তাঁরা তাঁদের জীবিকার জন্য চা–শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়শীল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে চা–শিল্প জীবন-জীবিকার প্রধান অবলম্বন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয় ১৮৪০ সালে। তবে বাণিজ্যিক প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৭ সালে, সিলেটের মালনীছড়ায়। 

এ বছরের চা দিবসের মূল লক্ষ্য হলো চা উৎপাদন ও বিতরণে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরা। সারা বিশ্বে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নারী কর্মীরা যে শ্রম দিচ্ছেন, তাঁদের সেই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। নারীদের ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম চ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই’

গত বছর দেশের শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার একটি ফোনালাপের অডিও যাচাই করে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মন্তব্য করেছেন প্রেসসচিব, আইন উপদেষ্টাসহ অনেকে। বলেছেন তার (শেখ হাসিনা) বিচার অবশ্যেই হবে। এবার সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এমন মন্তব্য করেছেন। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এনিয়ে কথা বলেন তিনি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, “গত বছরও বলেছিলাম, আজ আবার বলছি—
এত রক্ত যাঁর হাতে, সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই।” 

“তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বাকী আলাপের শুরু এর পর থেকে।” 

বুধবার বিবিসির অনুসন্ধানমূলক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন। 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যাচাই করে তারা জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনা নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের দেখা মাত্র গুলি করার।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ