Prothomalo:
2025-05-21@20:05:22 GMT

আন্তর্জাতিক চা দিবস

Published: 21st, May 2025 GMT

ধারণা করা হয়, চায়ের উৎপত্তি উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর মিয়ানমার কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে। কিন্তু ঠিক কোন স্থানে প্রথম চা–গাছ জন্মেছিল, তা জানা যায় না। তবে পানীয় হিসেবে চায়ের ব্যবহার নিয়ে একটি চৈনিক কিংবদন্তি আছে। চৈনিক পুরাণমতে, ঘটনাটি প্রায় ২৭৩৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের। তৎকালীন চীন সম্রাট শেন নাং তাঁর ভৃত্যকে পানীয় জলের জন্য পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে বললেন। ভৃত্য যখন পানি গরম করছিল, তখন আশপাশের কোথাও থেকে চা–পাতা উড়ে এসে পড়ে ফুটন্ত পানিতে। সঙ্গে সঙ্গে সেই পানি হালকা বাদামি রং ধারণ করল এবং একটা মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। সম্রাট সেই গন্ধ নিলেন এবং কৌতূহলী হয়ে তা পান করলেন। মুহূর্তে শরীর চাঙা হয়ে উঠল। তিনি এর স্বাদে ও গুণে মুগ্ধ হলেন। এভাবেই নাকি পানীয় হিসেবে চা মানুষের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়ে ওঠে। 

এটি নিতান্তই পুরোনো গল্প। তবে সন্দেহ নেই, প্রিয় পানীয় হিসেবে চা বহুকাল ধরে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রমাণসিদ্ধ তথ্যমতে, ৫ হাজার বছর আগে চীন দেশের মানুষ প্রথম চা পান শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চায়ের আবেদন বেড়েছে এবং বাড়ছে। বর্তমানে পানির পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পান করা পানীয় হচ্ছে চা। 

২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়। স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে চায়ের অবদান তুলে ধরতেই এই দিবসের চল হয়েছে। বর্তমানে চা খুব অল্প কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে চাষ করা হয় এবং এটি ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষের জীবনধারণের উৎস, যাঁদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র চাষি ও তাঁদের পরিবার। তাঁরা তাঁদের জীবিকার জন্য চা–শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়শীল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে চা–শিল্প জীবন-জীবিকার প্রধান অবলম্বন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয় ১৮৪০ সালে। তবে বাণিজ্যিক প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৭ সালে, সিলেটের মালনীছড়ায়। 

এ বছরের চা দিবসের মূল লক্ষ্য হলো চা উৎপাদন ও বিতরণে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরা। সারা বিশ্বে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নারী কর্মীরা যে শ্রম দিচ্ছেন, তাঁদের সেই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। নারীদের ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম চ

এছাড়াও পড়ুন:

এক লাখ হেক্টর নতুন বনায়ন হয়েছে, বাড়ছেজীববৈচিত্র্য

এখন পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এতে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বন ও জীবিকা (এসইউএফএলএল) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা বলেন, এসইউএফএলএল প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বন অধিদপ্তরে ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা টুল সফলভাবে চালু করা হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক বন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে।

এক হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের লাল তালিকা মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পাঁচটি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শিল্প খাতে ভূগর্ভস্থ পানি বিনামূল্যে উত্তোলনের প্রথা বন্ধে সরকার চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পথে এগোচ্ছে। বর্তমানে করপোরেট সেক্টর ভূগর্ভস্থ পানিকে একটি ফ্রি রিসোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে, যা পরিবেশ ও পানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন আর চলতে পারে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ