গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক
Published: 21st, May 2025 GMT
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে আওয়ামী লীগপন্থি ৬ ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশনের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। সদর থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু, উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল পাশা, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেস আলম খুশু, ফুলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, এরেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ফজলুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী মণ্ডল। এ সময় উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ কৌশলে পালিয়ে যান। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, সভা চলাকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক চেয়ারম্যানদের আটক করে বিচার দাবিতে পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্থানীয়র।
ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সাত চেয়ারম্যান বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। আসন্ন ঈদুল আজহার পর আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে বলে তারা প্রচার করছিলেন। এসব খবরে উপজেলা বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় জনগণ আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালীন তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে ফুলছড়ি থানা-পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে সদর থানায় পাঠায়।’ তবে উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদকে আটকের পর ফুলছড়ি থানার ওসি তাকে পালাতে সাহায্য করেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয়জন চেয়ারম্যানকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানকার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক ব এনপ র সদর থ ন উপজ ল ফ লছড় আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।