শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অবৈধ পেট্রোলিয়াম ও খনি প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগের প্রভাষক তাজবিউল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পাঁচদিন ধরে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে শাবিপ্রবির পিএমই বিভাগে গিয়ে দেখা যায় ক্লাস ও ল্যাব কক্ষে তালা দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সব ধরনের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে পিএমই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাফিন বলেন, “গত বছর জুন মাসে একটা নিয়োগ হয়েছিল, যেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এক বছর পরেও এর কোনো সমাধান হয়নি। আমরা এর প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি করার পরও নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা পাইনি, যার মধ্যে তার নিয়োগ বাতিল করা হবে।”

আরো পড়ুন:

চবিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও স্মার্টফোন বিতরণ

টানা ২৩ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি

তিনি আরো বলেন, “যেহেতু আমরা প্রশাসন থেকে আমরা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা পাইনি, তাই আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছি। যতদিন তার নিয়োগ বাতিল করা না হবে, ততদিন আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ বিভাগের সব কাজে অসহযোগিতা অব্যহাত রাখব।”

পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, “শনিবার সিন্ডিকেটের ২৩৬তম সভার পর থেকে বিভাগে ক্লাস, পরীক্ষা ও ল্যাব কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীরা অফিসে তালা দিয়েছেন। বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। কারণ, যোগ্যতা ছাড়া কোনো নিয়োগ বিভাগ মেনে নেবে না।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ প এমই

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন