বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা- ২০২৫ কে স্বাগত জানিয়েছে এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, ৩১ পর ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুসারে যুগোপযোগী বিধি প্রণয়ন আগামী প্রজন্মের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই বিধি আগামীতে এফবিসিসিআইসহ দেশের সকল বাণিজ্য সংগঠন দখলদারমুক্ত হয়ে স্বকীয়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
 
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা প্রণয়ন ও এফবিসিসিআই এর সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সারাদেশে বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এসব প্রস্তাব এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে সংস্কারের পক্ষে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করা হয়। গত ২০ মে সরকার বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। 

নেতারা বলেন, এই বিধিমালার অধীনে এফবিসিসিআই প্রশাসক খুব শিগগিরই নতুন নির্বাচনের পদক্ষেপ নেবেন। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনে সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ীর প্রিয় সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদ সদস্যরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সুযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করবেন। যারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন, উপদেষ্টা আবুল কাশেম হায়দার, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, সদস্য বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া, আনিসুর রহমান বাদশা, ড.

হাসিব মাহমুদ, ফিরোজ আলম, সাঈদা আখতার প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য স গঠন ব যবস য় দ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর একটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। ওই ধারা স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় যে অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০–এর (খ) উপধারা (১)–এর দফা (ঙ)তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’

সম্পাদক পরিষদ বলছে, অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে। অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংশোধন করা হচ্ছে সরকারি চাকরি আইন, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
  • উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সিদ্ধান্ত
  • অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ও এমপিদের চিঠি
  • অনেক প্রস্তাব পেয়েছি, তবু রাজি হইনি: হানিফ সংকেত
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২১ মে ২০২৫)
  • সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
  • এনবিআর দুই ভাগ নিয়ে আপত্তি নেই, আপত্তি পদ–পদবি নিয়ে
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কমানোটা ভালো বার্তা নয়
  • অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে