Samakal:
2025-09-17@22:31:36 GMT

‘আলী’ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ

Published: 24th, May 2025 GMT

‘আলী’ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ

কানের ঝকঝকে নীল আকাশ। একদিন আগেও এই আকাশ ছিল মেঘলা। অথচ শুক্রবারের আকাশ একেবারে নির্মল। আকাশের এই নীলাভ নীল যেন কান সাগরে আছড়ে পড়ছে। এই সাগরের তীর ঘেঁষেই পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবন। যে ভবনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসর। ভবনের পাশেই ক্লৌডে ডেবাসি থিয়েটার। ফরাসি বিখ্যাত সুরকারের নামেই এই থিয়েটার। উৎসবের এই সময়টায় এটি সিনেমাপ্রেমীদের আনাগোনায় মুখর থাকে। পুরো সিঁড়ি থাকে লালগালিচা বিছানো। যারা এই হলে প্রদর্শিত সিনেমা দেখতে আসেন, তারা এই লালগালিচায় হেঁটেই থিয়েটারে প্রবেশ করেন। এ সময় দর্শনার্থীরা একটু হলেও গালিচার ওপর থমকে দাঁড়ান। ছবি তোলেন। সেই ছবি ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এই ডেবাসি থিয়েটারই গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় হয়ে উঠল বাংলাদেশময়। এখানেই প্রদর্শিত হলো প্রথমবারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখার প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নেওয়া সিনেমা ‘আলী’। প্রদর্শনী শেষে যখন মাইক্রোফোনে সিনেমাটির পরিচালক আদনান আল রাজীবের নাম ঘোষণা করে মঞ্চে ডাকা হলো, তখনই পুরো হল যেন উল্লাসে ফেটে পড়ে। আর এরই সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বলে অক্ষরে লেখা হয়ে গেল বাংলাদেশের নতুন এক অধ্যায়।

রাজীব গিয়ে দাঁড়ালেন উৎসব পরিচালক থিঁয়েরির পাশে। হাসিমুখে হাত মেলানোর পরই মাইক্রোফোন নিয়ে ছলছল চোখে সবার দিকে তাকালেন বাংলাদেশের এই পরিচালক। সবার অভিবাদন গ্রহণ করে নির্মাতা বলেন, এটা শুধু আমার একক যাত্রা নয়। এটা সবার গল্প– যারা স্বপ্ন দেখে, প্রতিবাদ করে, নিজের ভাষায় কথা বলতে শেখে। আমাদের আলী বাংলাদেশের, পুরো বিশ্বের। আপনাদের ভালোবাসার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এ সময় রাজীব আরও বলেন, আলী শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানবিক অভিব্যক্তির এক চিত্রপট, যা আজ কান উৎসবে দর্শক-সমালোচকদের চোখে চমকজাগানো বাস্তবতার মুখ তুলে ধরেছে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রতিযোগিতা বিভাগে এটি বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ, যা ইতোমধ্যে জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক গর্ব। ‘আলী’ পুরস্কার জিতবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে আজকের এই মুহূর্ত, কান উৎসবের বিশাল পর্দায় ভেসে ওঠা আলীর চোখ, তার কণ্ঠে উচ্চারিত গান এবং তার যন্ত্রণার ছায়া– এ সবই বলছে, বাংলাদেশের একখণ্ড চেতনা।
সিনেমাটিতে ‘আলী’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমীন। গতকালের প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন তিনিও। তারও চোখেমুখে সাফল্যের আভা। দৃঢ়চিত্তে তিনি জানালেন, আমাদের সিনেমা সেরা হবে। কানে আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা ওড়াব।

এদিকে আজ পর্দা নামছে উৎসবের। বাংলাদেশের দর্শকরা হয়তো রাতের মধ্যেই জেনে যাবেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে কার হাতে সেরার খেতাব জুটছে। 
কান উৎসবের অফিসিয়াল সাইটে ‘আলী’র গল্প নিয়ে বলা হয়েছে, উপকূলীয় একটি শহরের গল্প, যেখানে নারীদের গান গাইতে দেওয়া হয় না। সেখানে এক কিশোর গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপকূল ছেড়ে শহরে যেতে চায়। এই গান গাওয়া নিয়েই রয়েছে এক রহস্য। 

কানের অফিসিয়াল সিলেকশনের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে দেশের কোনো সিনেমার তালিকাবদ্ধ হওয়া এটাই প্রথম। সর্বশেষ ২০২১ সালে আঁ সার্তে রিগা বিভাগে সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শিত হয়েছিল। গত ১৩ মে পালে দ্য ফেস্টিভ্যালে শুরু হয়েছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে বিশ্বের খ্যাতনামা অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেলরা বাহারি পোশাকে হেঁটেছেন। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব ক ন চলচ চ ত র উৎসব প রদর শ ন উৎসব উৎসব র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫