আবারও শুরু হলো এসসিবি ও চ্যানেল আই ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড’ কার্যক্রম
Published: 24th, May 2025 GMT
বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে দশম ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। দেশে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করতে এবারের আয়োজনে মোট ১৩টি শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ শনিবার সকালে আয়োজিত এসসিবি ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন কৃষি অ্যাওয়ার্ডের প্রযোজক রেহানা সামদানী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, এসসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় ও কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী।
এ বছরের কৃষি অ্যাওয়ার্ডে ব্যক্তিপর্যায়ে আজীবন সম্মাননা, সেরা নারী কৃষক, সেরা পুরুষ কৃষক, পরিবর্তনের নায়ক (নারী বা পুরুষ), সেরা সাংবাদিক (কৃষি), জুরি স্পেশাল (বিচারকমণ্ডলীর বিশেষ সম্মাননা), সেরা মেধাবী সংগ্রামী কৃষক (পুরুষ), সেরা মেধাবী সংগ্রামী কৃষক (নারী), জলবায়ু অভিযোজনভিত্তিক শ্রেষ্ঠ কৃষক (নারী বা পুরুষ) ও ছাদকৃষি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্রমাগত নগরায়ণের ফলে শহরভিত্তিক কৃষিকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এ বছর যুক্ত হয়েছে ‘ছাদকৃষি’ শ্রেণি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কৃষি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, কৃষি সহায়তা ও বাস্তবায়নে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও বছরের শ্রেষ্ঠ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাইখ সিরাজ বলেন, করোনার পর দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছিল, তা মোকাবিলায় কৃষি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখন সনাতন পদ্ধতির কৃষি চাষ কমে গেছে। দেশে দিন দিন কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে কৃষিতে তরুণদের অংশগ্রহণ। ভবিষ্যতে কৃষিতে এআইয়ের ব্যবহার ও আরও বেশি যান্ত্রিকীকরণ হলে এই খাত আরও বড় হবে।
এসসিবির সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের দেশে নীরব নায়ক হচ্ছেন কৃষকেরা। তাঁদের শ্রমেই দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। দেশের সংগ্রাম ও সম্ভাবনা—সবকিছুতেই রয়েছে কৃষির বড় অবদান।’
২৫ মে শুরু হচ্ছে ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ, যা চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ১৬ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা হওয়া মনোনয়ন থেকে প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এরপর মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই ও বিচারকদের পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত হবে বিজয়ীদের নাম। অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত আয়োজন হবে চলতি বছরের ২৬ অথবা ২৭ সেপ্টেম্বর।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এসস ব
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত
‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবির হলে র্যাগিং: ১৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন
সাইন্টিফিক বিযিনেস: বাঙালির কলুষিত মনস্তত্ত্ব
‘যুব উৎসব ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিল- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে, প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে নয়টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’, ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিল। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিল না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তনই হলো একমাত্র স্থির।”
তিনি বলেন, “তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন, সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারে সে জন্য আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী