বনে বসবাসকারীদের ১২৯ মামলা প্রত্যাহার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 25th, May 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনে বসবাসকারীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তবে বনজমি দখলের মামলা এবং যেসব মামলায় বন বিভাগের লোকজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনোভাবে এখানের জনগোষ্ঠীদের হয়রানি করা যাবে না। আমি বনবিভাগের লোকজনকে নির্দেশনা দিচ্ছি। এটি কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, একটি ঘোষণা।
বনবিনাশ রোধে বনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ এবং প্রথাগত বনবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি।
গারো জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শত শত একর জমিতে আনারস, কলা চাষ করতে পারবেন না। শত শত একর জায়গায় হরমোন ও পেস্টিসাইড দিয়ে শালবন নষ্ট করার সুযোগ পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের প্লট কেউ পাবে না, না ধনী, না দরিদ্র। নদীভাঙা বা দরিদ্রদের জন্য বন্দোবস্ত হবে, তবে খাসজমি বা বনভূমিতে নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, মধুপুরের অবক্ষয়িত শালবন পুনরুদ্ধারে সরকার বদ্ধপরিকর। এবার ৭৫০ একর এবং আগামী তিন বছরে ৬ হাজার ৬১০ একর জায়গায় শালবন রোপণ করব। শালের পাশাপাশি সহযোগী বৃক্ষরোপণ চলছে, যেন স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করা যায়।
তিনি বলেন, শালবনের সীমা চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে এবং ‘রাজাবাড়ী’ এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। শালবনে শুধু শালগাছই থাকবে। ১০০ টি গাছের মধ্যে ৭০ টি শাল এবং ৩০টি সহযোগী গাছ থাকবে, কিন্তু কোনো বিদেশি গাছ থাকবে না।
আলোচনার আগে উপদেষ্টা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক হাজার শালগাছের চারা রোপণের মাধ্যমে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তিনি রাজাবাড়ী এলাকায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং শালবনে ময়ূর ও পুকুরে কাইট্টা মাছ অবমুক্ত করেন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট উপদ ষ ট শ লবন
এছাড়াও পড়ুন:
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবিতে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা অর্ডিন্যান্স জারি এবং কাউন্সিল গঠনের একদফা দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আজ চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় দুই মেডিকেলের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আহসান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৬ সালের নীতিমালা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অস্থায়ী কাউন্সিল হিসেবে বিএএমএস ও বিইউএমএস চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করবে এবং বিএমডিসির আদলে একটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের জন্য বলা হয়। কিন্তু আজ ২৯ বছর পার হওয়ার পরও কাউন্সিল গঠিত হয়নি। এতে চিকিৎসকেরা পেশাগত জীবনে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। আইন ও কাউন্সিল ছাড়া আন্দোলন থামবে না। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
গত ৩০ জুন থেকে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ৭ জুলাই থেকে পৃথক আইন প্রণয়ন করে কাউন্সিল গঠনের দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা।