বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টিউশন ফির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার সন্ধ্যায় মামলার শুনানি শেষে বগুড়ার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সুপার জাহাঙ্গীর আলম ২০২১ সালে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টিউশন ফির ৩৭ হাজার টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বগুড়া থানা রোডের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় পাঠায়। এই টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণের নিয়ম। কিন্তু সুপার কাউকে না জানিয়ে এই টাকা তুলে আত্মসৎ করেন। এ ঘটনায় মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুলতান মাহামুদ রুবেল বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ২৩ মে আদালতে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে গত বছরের ২ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।

এই মামলার সোমবার ছিল শুনানির তারিখ। ওই দিন সুপার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।

মামলার বাদী সুলতান মাহামুদ রুবেল বলেন, মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আছে। নিয়োগ নিয়ে নানা প্রতারণা করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম দর স র

এছাড়াও পড়ুন:

বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে আসাদুজ্জামান ধ্রুব (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশের ধারণা, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।

বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।  

ধ্রুবর চাচা সাদিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মেরুল বাড্ডার ভাড়া বাসায় থাকতেন ধ্রুব। তার মা–বাবা গ্রামে থাকেন। ধ্রুবর গ্রামের বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া থানায়। তার বাবা শামসুজ্জামান বাবুল মোটর পার্টস ও লেদ ব্যবসায়ী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ধ্রুব ছিলেন ছোট। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে ধ্রুবর মা ছেলেকে কল করে না পেয়ে, তাকে (সাদিকুর) জানান। তিনিও একাধিকবার কল দেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে ধ্রুবর ঘর ভেতর থেকে বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাননি। পরে বাড়িওয়ালার সহায়তায় বাড্ডা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ধ্রুবর অচেতন দেহ উদ্ধার করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ