সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর আব্দুল্লার হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 26th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ মিছিলটি গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে কদমতলী নাভানা ভূঁইয়া সিটি হয়ে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ভাঙ্গারপুল এলাকায় এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান, ফুফু পিংকি বেগম ও বড়বোন সোহানা।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার ছেলে আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো যে তিনজন আসামী রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি।
আজ আমার কোল খালি হয়েছে, কাল যেন আরেকজনের কোল খালি না হয়। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের ফুফু বলেন, আমরা চাই ডিএনডি লেক পাড়টি যেন পুরোপুরি নিরাপদ থাকে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যাতে সন্ধ্যার পর রাতে হাটতে পারে। কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাতে এই লেক পাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।
ছিনতাই, চাঁদাবাজী, গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসা, সেবন এবং মেয়েদেরকে ইভটিজিং সহ সব এই লেক পাড়ে হয়। লেক পাড়ের লাইটগুলো বন্ধ থাকার কারণে অন্ধকারে আরো বেশি অপরাধ হয়। এক আব্দুল্লাহ গেছে আমরা চাইনা আরো কোন আব্দুল্লাহর মারা যাক। আমরা চাই আব্দুল্লাহ হত্যার একটা সুষ্ঠু বিচার হউক।
তিনি আরো বলেন, এই লেক পাড়ে একটি দোকান আছে, আব্দুল্লাহকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার পাশেই চাচার দোকান নামে পরিচিত। ওই চাচার দোকানে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে বুড়ারাও সেখানে যায়, মাদক দ্রব্য কিনে এবং খায়। আমরা চাই না এই দোকানটা এখানে থাকুক।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে শুক্রবার রাত ১০টায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহতের বাবা শামীম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জকে ‘বাদ দেওয়ার চেষ্টার’ প্রতিবাদ
হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জ অংশ বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে—এমন অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে অংশ নেন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শতাধিক বাসিন্দা।
হবিগঞ্জ সদর ও লাখাইবাসীর ব্যানারে বেলা একটার দিকে এই মানববন্ধন শুরু হয়।
এতে বক্তারা বলেন, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬৬১ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু নাসিরনগর থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়কটির প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হলেও হবিগঞ্জ অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অথচ সড়কটির উন্নয়ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট বিভাগের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এতে যাতায়াত খরচ কমবে। এ ছাড়া সড়কের পাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
বক্তাদের দাবি, হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কটি হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যাতায়াত সহজ করেছে। প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। চার জেলার মধ্যে আর্থসামাজিক, কৃষি ও শিল্পসংশ্লিষ্ট যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের উন্নয়ন হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে বিকল্প ও কার্যকর সংযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতি বেগবান হবে। পণ্য পরিবহন সহজ হবে। স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী হবে। সেই সঙ্গে সড়কে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সড়কটির নাসিরনগর-সরাইল অংশে কাজ শুরু হলেও হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ার চেষ্টা চলছে। যদি প্রকল্পের হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ঢাকার সঙ্গে সিলেট বিভাগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইসলাম তরফদার ও এনামুল হক, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রফিক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ প্রমুখ।