আগের পর্বআরও পড়ুনসিসিতে নিশ্চয়ই ধরা পড়বে১৯ জুন ২০২৫
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ষণস্নাত সন্ধ্যায় ভেসে এলো শৈশবের স্মৃতি
অঝোর ধারায় বৃষ্টি চলছিল দুপুর থেকেই। একটানা চলল প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেন আষাঢ়ের রূপ চেনাতেই প্রকৃতির এই টানা বর্ষণ। সন্ধ্যা যখন প্রায় ঘনিয়ে এলো, তখন থামল বৃষ্টি। শান্ত হলো প্রকৃতি। তখনই আরিবার কণ্ঠে বেজে উঠল, ‘এসো শ্যামল সুন্দর,/ আনো তব তাপহরা তৃষাহরা সঙ্গসুধা।’ রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে হারমোনিয়ামের
সুর, তবলার তালে ঝংকৃত হয়ে যেন মূর্ত হয়ে উঠল বর্ষার রূপ।
শুক্রবার এমন সন্ধ্যা নেমেছিল রাজবাড়ী শহরতলির গোদারবাজারের পদ্মাপুলক পয়েন্টে। সেখানে জেলা প্রশাসন ও রাজবাড়ী পৌরসভা যৌথভাবে আয়োজন করেছিল ‘জলদ তালে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। বর্ষাসংগীতের সুর-তাল-লয়, কবিতা ও নাচের ছন্দ এদিন উপভোগ করেন বৃষ্টিস্নাত দর্শনার্থীরা। পদ্মাপারের খোলামঞ্চে তারা নির্মল আনন্দে মেতে ওঠেন। শৈশবের স্মৃতি যেন ভেসে ওঠে তাদের মানসপটে।
আরিবার কণ্ঠ থেমে যাওয়ার পর একে একে গেয়ে ওঠেন জান্নাত ই আমিরা ও লুবনা। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ওগো বৃষ্টি আমায় চোখের পাতা ছুঁয়ো না’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে’র মতো আধুনিক গান। সমবেত কণ্ঠে ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’ লোকগান পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
‘বর্ষাবরণ স্মৃতিহরণ’ শীর্ষক বৃন্দ কবিতা আবৃত্তি পরিবেশিত হয় চায়না সাহার পরিচালনায়। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথের ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’ ও কাজী নজরুলের ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’ গানের তালে নাচ পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা।
ফাঁকে ফাঁকে চলে রবীন্দ্রনাথের ‘শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা’, ‘বরিষা ধরা মাঝে শান্তির বাণী’; কাজী নজরুলের ‘গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে’। পরিবেশিত হয় ‘আজ এ বৃষ্টির কান্না শুনে’, ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’র মতো আধুনিক ও ফোক গান।
আলোচকেরা বলেন, সাধারণ দিনের থেকে বর্ষাকালের দিন অনেকটা আলাদা। এই সময় আমাদের মনের ভেতর অন্যরকম দোলা দেয়। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। বর্ষাকালে চারদিকে নদনদী, খাল-বিল পানিতে ভরে যায়। তখন মনের ভেতরে সুখ-দুঃখের
অনুভূতি খেলা করে।