মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মাংডু শহর থেকে তিনটি ট্রলারে ১ হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল এসেছে টেকনাফ বন্ধরে। গত ৩, ৫ ও ১২ জানুয়ারি এই ডাল আমদানি করা হয় বলে বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।  

সোমবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি ট্রলার ৩০০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে টেকনাফ বন্দরে পৌঁছায়। ডাল খালাসের পর ওয়্যারহাউজে রাখা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার ছৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মাছ ভর্তি একটি ট্রলার বন্দরে এসেছিল।”

আরো পড়ুন:

এইচএমপিভি প্রতিরোধে হিলি ইমিগ্রেশনে মেডিকেল টিম

ভারত থেকে এলো ৫ টন জিরা

তিনি আরো বলেন, “গত ৩ জানুয়ারি জিন্নাহ এন্টারপ্রাইজের নামে ১ হাজার বস্তা, ৫ জানুয়ারি ২৬০ বস্তা এবং ১২ জানুয়ারি ৩০০ বস্তা ফেলন ডাল এসেছে। এ নিয়ে চলতি জানুয়ারিতে মোট ১ হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল এসেছে মংডু শহর থেকে। তবে আগের মতো বড় পরিমাণে পণ্যবোঝাই জাহাজ আসছে না।”

স্থলবন্দরের এজেন্টরা জানান, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মংডু শহরসহ ২৭০ কিলোমিটার এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকে মিয়ানমার থেকে আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা বিএম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, “মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানির বিপরীতে ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। একই সময়ে ৬৩৬ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি কমে হয়েছে মাত্র ১১ হাজার মেট্রিক টন, রাজস্ব আদায়ও নেমে এসেছে ৮৭ কোটিতে। অর্থাৎ রাজস্ব কমেছে ১৭০ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানির এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সরকার।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) সকালে সীমান্ত বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়।

গত শুক্রবার ও শনিবার (২৯ জুন) এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। যার ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম

হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ

বন্দরে কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না হওয়ায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত ও আগাম স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কিছু পণ্য সীমিত পরিসরে রপ্তানি করা হয়েছিল।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‍“শাট ডাউনের কারণে রবিবার বন্দরে কোনো মালামাল আসেনি। আজ থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে।”

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শাট ডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা আজ সকাল থেকে যথারীতি কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।”

এদিকে, কর্মবিরতি চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। যাত্রী পারাপারে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হিলি বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতে জুস রপ্তানি 
  • ‘অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব
  • আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
  • দুই দিন পর সচল হলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর