কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে অক্সফাম, বেতন বছরে ২১ লাখ ৪ হাজার ৭৪২ টাকা
Published: 15th, January 2025 GMT
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ঢাকায় কান্ট্রি হেলথ, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজার পদে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: কান্ট্রি হেলথ, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিকিউরিটি, রিস্ক/ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট, মিলিটারি/পুলিশ সায়েন্স, আইন বা সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট অথবা অ্যানালিসিস–সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। অত্যধিক অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। কোনো সংস্থায় সিকিউরিটি রিস্ক ম্যানেজমেন্টে অন্তত আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান অপারেশনে সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট, প্ল্যানিং ও ইমপ্লিমেন্টেশনে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাংগঠনিক দক্ষতাসহ যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: ঢাকা
কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: বছরে (১৩ মাস) বেতন ২১ লাখ ৪ হাজার ৭৪২ টাকা। এ ছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, সঙ্গী–সন্তানসহ কর্মীর চিকিৎসাসুবিধা, ছুটি ও বিমার সুযোগ আছে।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের অক্সফামের ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইটের এই লিংকে গিয়ে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply For This Role বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’