পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত
Published: 4th, May 2025 GMT
পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত
অথর: ০২২৮৮
সেকশন: ভারত, বিশ্ব
ছবি: indus-water-treaty নামে ইন্টারন্যাশনালে আছে
ক্যাপশন: চেনাব নদীর ওপর ভারতের নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘বাগলিহার হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট’–এর একটি দৃশ্য। ছবি: এএনআই
ট্যাগ: ভারত, পাকিস্তান, পানি, চুক্তি, কাশ্মীর
মেটা: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর পানি আটকাল ভারত।
এক্সসার্প্ট: চেনাব নদীর জম্মু অংশের ওপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে ঝিলম নদীর ওপর নির্মিত কিশানগঙ্গা বাঁধ পানি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ভারতকে সুযোগ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত
পিটিআই
বাগলিহার বাঁধের মাধ্যমে পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর এই পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি। কিশানগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমেও ঝিলম নদীর পানিপ্রবাহও একইভাবে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে ভারত। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ রোববার ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেছে, চেনাব নদীর জম্মু অংশের (চন্দ্রভাগা) ওপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে ঝিলম নদীর ওপর নির্মিত কিশানগঙ্গা বাঁধ পানি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ভারতকে সুযোগ করে দিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
১৯৬০ সালে পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানিচুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু অববাহিকার পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় ভারতকে। আর পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদ-নদী সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাবের অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
বাগলিহার বাঁধ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। কিশানগঙ্গা বাঁধ নিয়েও আইনি ও কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে।
২৫ এপ্রিল সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত রঘুনাথ পাতিল বলেন, ‘সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না পৌঁছাতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানাজানির পর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, এই চুক্তি লঙঘন করে পানিপ্রবাহ সরিয়ে দেওয়া বা আটকে দেওয়াকে যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুনএক ফোঁটা পানিও যাতে পাকিস্তানে না যায়, আমরা তা নিশ্চিত করব: ভারতের জলমন্ত্রী২৬ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনভারত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করায় পাকিস্তানের কতটা ক্ষতি হতে পারে২৫ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওপর ন র ম ত র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতি: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেতর পাভেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, চাপ না বাড়ানো পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংঘাত শেষ করতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন না।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাশিয়া চাপ প্রয়োগ ছাড়া যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাশিয়ার উপেক্ষা করার আজ ৫৪তম দিন।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো মুহূর্তেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব। সেটা আজ থেকেও হতে পারে। আর এই যুদ্ধবিরতি অন্তত ৩০ দিন চলা উচিত, যাতে কূটনীতির জন্য প্রকৃত সুযোগ তৈরি হয়।’
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থহীন। তিনি গত মার্চ মাসে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৯ মে বিজয় দিবসের প্যারেডে ট্যাংকের প্রদর্শনী না করে পুতিনের উচিত ছিল, কীভাবে এই যুদ্ধ বাস্তবভাবে শেষ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করা।
জেলেনস্কি বলেন, তিনটি বিষয় জরুরি। প্রথমত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয়ত ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং তৃতীয়ত ইউরোপজুড়ে উল্লেখযোগ্য হারে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি।