পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত
অথর: ০২২৮৮
সেকশন: ভারত, বিশ্ব
ছবি: indus-water-treaty নামে ইন্টারন্যাশনালে আছে
ক্যাপশন: চেনাব নদীর ওপর ভারতের নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘বাগলিহার হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট’–এর একটি দৃশ্য। ছবি: এএনআই
ট্যাগ: ভারত, পাকিস্তান, পানি, চুক্তি, কাশ্মীর
মেটা: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর পানি আটকাল ভারত।
এক্সসার্প্ট: চেনাব নদীর জম্মু অংশের ওপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে ঝিলম নদীর ওপর নির্মিত কিশানগঙ্গা বাঁধ পানি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ভারতকে সুযোগ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত
পিটিআই


বাগলিহার বাঁধের মাধ্যমে পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর এই পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি। কিশানগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমেও ঝিলম নদীর পানিপ্রবাহও একইভাবে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে ভারত। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ রোববার ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেছে, চেনাব নদীর জম্মু অংশের (চন্দ্রভাগা) ওপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে ঝিলম নদীর ওপর নির্মিত কিশানগঙ্গা বাঁধ পানি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ভারতকে সুযোগ করে দিয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।

১৯৬০ সালে পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানিচুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু অববাহিকার পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় ভারতকে। আর পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদ-নদী সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাবের অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।

বাগলিহার বাঁধ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। কিশানগঙ্গা বাঁধ নিয়েও আইনি ও কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে।

২৫ এপ্রিল সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত রঘুনাথ পাতিল বলেন, ‘সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না পৌঁছাতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’

সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানাজানির পর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, এই চুক্তি লঙঘন করে পানিপ্রবাহ সরিয়ে দেওয়া বা আটকে দেওয়াকে যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুনএক ফোঁটা পানিও যাতে পাকিস্তানে না যায়, আমরা তা নিশ্চিত করব: ভারতের জলমন্ত্রী২৬ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনভারত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করায় পাকিস্তানের কতটা ক্ষতি হতে পারে২৫ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওপর ন র ম ত র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ: বিএনপিতে যোগ দিলেন যে কারণে 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন তিনি।

স্নিগ্ধর হঠাৎ বিএনপিতে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপিতে যোগদান বিষয়ে তিনি নিজেই মুখ খুলেছেন।

বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে ফেসবুক পেজে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধর স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘‘আসসালামু আলাইকুম 
আমি মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। জুলাইয়ের পর থেকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের যে জোয়ার উঠেছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে, সেই তরুণদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমিও সামাজিকভাবে নানা কার্যক্রমের প্রতিনিধিত্ব করেছি। পাশাপাশি তরুণদের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক পরিবর্তনের যে প্রচেষ্টা চলছে সেই লক্ষ বাস্তবায়নে  রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি।

আপনারা জানেন যে আমি বা আমার ভাইদের কেউই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, মুগ্ধ একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। তাই আমি মনে করি মুগ্ধসহ সকল শহিদ কোন রাজনৈতিক দলের নয়, তারা সকল মানুষ এবং দেশের সম্পদ। 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং এই নতুন বাস্তবতায় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে রাজনীতিতে  অংশগ্রহণ করছি। এবং সম্পূর্ণ নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে চাই।

অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে জুলাইকে নানাভাবে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি, এখন সময় এসেছে রাজনৈতিকভাবে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করার। আমার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার পিছনে অন্যতম কয়েকটি কারণ হলো- 

সর্বোচ্চ জায়গা থেকে জুলাইকে প্রতিনিধিত্ব করা। জুলাই শহিদ, আহত যোদ্ধা,  শহিদ পরিবার এবং সর্বোপরি জুলাইয়ের ভয়েস হয়ে উঠা, রাজনীতিতে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করা এবং বাংলাদেশপন্থী ও জুলাইপন্থী সকল অংশীজনের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান কারার পিছনে আমার কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে তাছাড়া বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন এবং রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ২০২৩ এর অনেক জায়গা আছে যেগুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে আমি আগ্রহী। 

দ্বিতীয়ত আমি মনে করি, সকল পরিসরে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন। তাই আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হচ্ছি। এতে করে জুলাইয়ের ঐক্য শক্তিশালী এবং দীর্ঘায়িত হবে বলে আমি মনে করি।

তাছাড়া বিএনপির সন্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান চাচ্ছেন যে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করি যা আমারও অন্যতম রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার একটি। এর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দল এবং তরুণদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীতে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আমি মনে করি।

তবে সর্বোপরি আমি সকল রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশ ও   জুলাইপন্থী সকলের সাথে কাজ করে যেতে চাই। রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান আমার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য। আমার এই পথচলাই  সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি। মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ জনমানুষের সকল সংগ্রাম চির অম্লান হোক।

আরেকটি বিষয়, এতদিন যত দায়িত্ব আমি পালন করেছি সব দায়িত্ব নিষ্ঠা এবং সততার সাথে পালন করেছি। যদি কোন অভিযোগ থাকে দয়া করে অভিযোগে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রমাণসহ উপস্থাপন করবেন এবং গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। নতুন বাংলাদেশে সবাই মিলে এতটুকু সংস্কার তো আমরা আশাই করতে পারি।’’

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ