কুমিল্লায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধান, চলছে খনন
Published: 4th, May 2025 GMT
কুমিল্লায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের চারা বাড়ি এলাকায় সম্প্রতি মাটি খননের সময় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধান মেলে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে একটি বসতঘর নির্মাণের জন্য মাটি খনন করার সময় পুরোনো একটি ঘরের দেয়াল ও প্রাচীন কাঠামোর অংশবিশেষ পাওয়া যায়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। প্রত্নস্থলটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন কৌতূহলী মানুষ। গত শনিবার থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত ও খনন কাজ শুরু করেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে চলছে নিদর্শন উদ্ধারের কাজ।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি বহু পুরোনো কোনো রাজা বা জমিদার আমলের স্থাপনার অংশ হতে পারে। তবে চূড়ান্ত তথ্য নিশ্চিত হতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বিশ্লেষণ ও গবেষণা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এই আবিষ্কার হয়তো ধর্মপুর গ্রামের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায় উন্মোচন করবে এবং ভবিষ্যতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিতি পেতে পারে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ড.
রোববার বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার জানান, লালমাই বৌদ্ধ বিহারের মতো এখানেও প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান মিলেছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন খনন কাজ চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, এখানে আরও ভালো কিছুর সন্ধান মিলবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ২ সাংবাদিককে মারধর, একজন গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর প্রতিরোধ স্তম্ভ ঘিরে ইট-বালু ব্যবসা করার ছবি তোলায় স্থানীয় পত্রিকার দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। রোববার বিকেল ৩টায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ‘উজ্জীবিত বাংলাদেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. কবিরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় নগরীর মাসদাইর এলাকায়। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে আগের বিএনপি সরকারের সময় মাসদাইরে গড়ে তোলা হয় প্রতিরোধ স্তম্ভ। স্তম্ভের চারিদিকের জায়গা দখল করে সালাউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ইট-বালু রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে রোববার বিকেলে পত্রিকার প্রতিবেদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার সেখানে যান। ছবি তোলার সময় স্থানীয় সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
কবিরুল ইসলাম আরও জানান, সালাউদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসামি। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ইট-বালু ঘেরা প্রতিরোধ স্তম্ভের ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক আমাদের দুইজনকে ধরে টেনেহিচড়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায় এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। মারধরে আমার চোখে উপরের অংশ ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এতে আমরা দুইজনই মারাত্মক আহত হয়েছি।’
ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার আরও জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।