তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠিত হলো এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫
Published: 4th, May 2025 GMT
তরুণেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে নানা কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। তাঁরা নিজেদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। তাঁদের আরও উৎসাহিত করতেই অনুষ্ঠিত হলো এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫।
শনিবার ঢাকার ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় অনুষ্ঠিত এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশ থেকে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক ও প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নেন। এই আয়োজনের সহযোগী অংশীদার ছিল প্রথম আলো।
অনুষ্ঠানে সার্বিক কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫-এর আহ্বায়ক ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস। তিনি বলেন, ‘এই অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মো.
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল একটি প্রযুক্তি নয়। এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান ও মানবিক উন্নয়নে এক কার্যকর হাতিয়ার। এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ সেই বাস্তবতা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছে। তাঁরা বলেন, এই আয়োজন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের তরুণেরা এখন শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নন, বরং তাঁরা উদ্ভাবনের শক্তি নিয়েই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
দিনব্যাপী আয়োজনে তিনটি কর্মশালা ছিল। এতে বাস্তব জীবনে এআইয়ের প্রয়োগ, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই তিন স্তরে প্রজেক্ট জমা দেন। বিচারকাজে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই, সিআইএস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষক অংশ নেন।
বিজয়ীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প নির্বাচন করে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ ট্রফি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ স্কোরারকে একটি ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ ২০২৫ অন ষ ঠ ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিআইয়ের গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় মেলা উদ্বোধন
দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের (বিটিআই) উদ্যোগে ‘বিটিআই সামার সেলস কার্নিভ্যাল ২০২৫’ বা ‘গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় মেলা ২০২৫’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিটিআই ল্যান্ডমার্কে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ মেলা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে রাজধানীতে আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল নানা চমক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআই জানায়, মেলায় মূল আকর্ষণ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিটিআই নির্মিত ২০টি নতুন আবাসিক প্রকল্পের (রেসিডেনশিয়াল প্রজেক্ট) উদ্বোধন করা হয়। অত্যাধুনিক নকশা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসা এই প্রকল্পগুলো ঢাকার আবাসন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপলক্ষে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী), দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম, ই কে আর্কিটেকটসের স্থপতি এহসান খান, নকশাবিদের স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার, প্র্যাক্সিস আর্কিটেকসের স্থপতি নাজলি হুসাইন প্রমুখ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ, স্থাপত্যের (আর্কিটেকচারাল) ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বিটিআইয়ের আরও কিছু প্রকল্পের ওপর বিশেষ ছাড়, তাৎক্ষণিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ সেবা, সেকেন্ডারি প্রোপার্টি কেনাবেচা কিংবা ভাড়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম এবং ‘হোম অ্যান্ড ডেকোর’ পণ্যের ওপর ছাড় নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা। অনুষ্ঠানে বিটিআইয়ের হোম লোন পার্টনার ছাড়াও রিয়েল এস্টেট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিষেবাও উপস্থাপন করা হয়।