পাকিস্তান গতকাল রোববার থেকে দেশটির স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ দিয়ে ভারতের তৈরি পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে তৃতীয় কোনো দেশ থেকে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে।

পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। সিদ্ধান্তটি ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে’ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ভূমি, সাগর ও আকাশ ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে ভারতীয় পণ্য আমদানি এবং তৃতীয় কোনো দেশ থেকে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার রাতে পাকিস্তানের বন্দরগুলোয় ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে ভারতও দেশটির বন্দরগুলোয় পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

পাকিস্তানের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের পোর্টস অ্যান্ড শিপিং উইং এক আদেশে জানায়, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামুদ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তান তার সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কিছু ব্যবস্থা কার্যকর করছে। এগুলো হলো ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজগুলো কোনো পাকিস্তানি বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজগুলো কোনো ভারতীয় বন্দরে যেতে পারবে না, কোনো রকম ব্যতিক্রম বা বিশেষ ছাড়ের আবেদন আলাদা আলাদা ভিত্তিতে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে গ্যাসের গন্ধ, আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ কেজিডিসিএলের

চট্টগ্রামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে অনেকেই পোস্ট দেন। তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) প্রকৌশলীরা জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গ্যাসের পাইপ লাইনের লিকেজ শনাক্তে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। সেটির গন্ধ পাচ্ছেন বাসিন্দারা। লিকেজগুলো মেরামতের কাজ চলছে। 

হালিশহরের বাসিন্দা রেজাউল সাইমুন ও পাহাড়তলীর হাজী ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, তারা বিকেল থেকে তাদের এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন। তবে কেজিডিসিএল আগে থেকে নগরবাসীকে অবহিত না করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

এ বিষয়ে কেজিডিসিএলের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, এটি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। লিকেজ শনাক্ত করতে গন্ধ পাওয়ার জন্য ক্যামিকেল (ওডোরেন্ট) ব্যবহার করা হয়। সেটির গন্ধ পাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। আশা করছি, দ্রুত এ গন্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।

কেজিডিসিএলের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম খান বলেন, গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজের কারণে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ