ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের বরিশালের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ মো হাসিবুল হাসান এই আদেশ দিয়েছেন।

ফয়জুল করীমের পক্ষের আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন ও মো.

হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ায় মামলাটি গ্রহণের পর্যায়ে না থাকাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। 

তবে এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করার জন্য গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।

গত ২৪ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানির তারিখ আজ ৫ মে নির্ধারণ করেছিলেন বিচারক।

ঢাকা/পলাশ/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মে দণ্ডের বিধান প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডনীয় হবেন—নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সন্নিবেশিত এমন বিধান প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

গত ২৫ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের ৫ ধারায় বলা হয়, ওই আইনের ধারা ৯ক–এর পর নতুন ধারা ৯খ সন্নিবেশিত হবে। আর ৯খ ধারায় বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করলে দণ্ডের বিষয়ে বলা রয়েছে।

অধ্যাদেশের ৫ ধারার মাধ্যমে সন্নিবেশিত ৯খ ধারার বৈধতা নিয়ে ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’–এর পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হয়ে গত ৭ এপ্রিল রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।

পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশের ৫ ধারার মাধ্যমে সন্নিবেশিত ৯খ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে হবে।

ওই বিধানের ভাষ্য, যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বল প্রয়োগ ছাড়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছরের বেশি বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি ওই ঘটনার সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অনধিক সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

আরও পড়ুনধর্ষণ মামলার জট কমাতে ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম’ আলাদা ধারা করা হয়েছে২৮ মার্চ ২০২৫

রিট আবেদনকারী পক্ষের ভাষ্য, বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে ৯খ ধারায় বলা হয়েছে, যা মূল আইনে ছিল না। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর, তা না রাখলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাত বছরের দণ্ড হবে বলা হয়েছে। শুধু ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি’ না রাখার কারণে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে তা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকার লঙ্ঘন করে। প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে শুধু লিঙ্গের ভিত্তিতে একজনকে অপরাধী এবং অপরজনকে অপরাধী হিসেবে গণ্য না করার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুসারে আইনের চোখে সবাই সমান। যখন ঘটনা ঘটছে, তখন তা অপরাধ নয়, পরবর্তী সময়ে প্রতিশ্রুতি না রাখলে তা অপরাধ হিসেবে দেখা হয়েছে বিধানটিতে। এমন অনুমান বা ধারণার ভিত্তিতে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়র ঘোষণার দাবিতে ফয়জুল করীমের করা মামলা খারিজ
  • ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে আজ আধা বেলা বন্ধ হাইকোর্ট
  • আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
  • আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত
  • ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ আজ আধা বেলা বন্ধ
  • অর্থ লেনদেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনজীবী হত্যাসহ চার মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন
  • আইনজীবী হত্যাসহ চার মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আদালতে
  • বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মে দণ্ডের বিধান প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল