হ্যারি কেইনের টটেনহ্যাম ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে আফসোসই লাগবে। ২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে ২০২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত স্পার্সদের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। কোন মৌসুমে ২০ গোলের নিচে করেননি। অথচ কোন শিরোপা তিনি জিততে পারেননি। লিগে কখনো দুইয়ে শেষ করেছে টটেনহ্যাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেও হতাশ হতে হয়েছে।

জাতীয় দলের হয়েও একই হতাশা ভর করেছে। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে, ইউরোয় ফাইনালে গিয়ে হৃদয় ভেঙেছে। ওই কেইন গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন। যে বায়ার্নের প্রতি বছর অন্তত দুই-তিনটা শিরোপা জয় অবধারিত থাকে। কেইন বায়ার্নে যোগ দিতেই যেন সাগর শুকিয়ে যায় দলটির। ওই মৌসুমে কোন শিরোপাই জেতেনি বাভারিয়ানরা। 

অবশেষে অভিশপ্ত কেইনের মুক্তি মিলেছে। শীর্ষ পর্যায়ে ক্যারিয়ারে ১৫ বছর কাটানোর পর শিরোপার স্বাদ পেলেন তিনি। তার নামের পাশে লেখা গেল চ্যাম্পিয়ন। রোববার রাতে বায়ার লেভারকুসেন ২-২ গোলে ফ্রাইবুর্গের বিপক্ষে ড্র করলে বায়ার্ন জিতেছে ৩৩তম বুন্দেসলিগা। আর কেইন ক্যারিয়ারের প্রথম। 

এই শিরোপা জয়ের সুযোগ গত শনিবার এসেছিল বায়ার্নের সামনে। দলটি তখন শিরোপা উদযাপনের ক্ষণ গুনছে, কেইনও অপেক্ষায়। ম্যাচে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু শেষ বাঁশির আগে লাইপজিগ ম্যাচে ৩-৩ গোলের সমতা করে কেইনের অপেক্ষা বাড়ায়। 

জার্মান লিগে ২টি করে ম্যাচ বাকি আছে বায়ার্ন মিউনিখ ও লেভারকুসেনের। বায়ার্ন তুলেছে ৭৬ পয়েন্ট। লেভারকুসেন ৬৮। ৮ পয়েন্টে বায়ার্ন এগিয়ে থাকায় শেষ দুই ম্যাচে তারা হারলেও শিরোপা হারানোর শঙ্কা নেই। মৌসুম জুড়ে অবশ্য হ্যারি কেইন বায়ার্নের জার্সিতে দারুণ খেলেছেন। লিগে সর্বোচ্চ ২৪ গোল তার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য় র ন ম উন খ

এছাড়াও পড়ুন:

১০ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো গণআন্দোলনে শহীদের লাশ 

গণআন্দোলনকালে ঢাকার আশুলিয়ায় শহীদ হওয়া চট্টগ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার ওমর বিন নুরুল আবছারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১০ মাস ২০ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। 

বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আকুবদণ্ডী গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। কানিজ ফাতেমা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

লাশ উত্তোলনের সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক ও বোয়ালখালী থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

ওমর বিন নুরুল আবছার গণআন্দোলনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পারিপার্শ্বিক কারণে ওমরের অভিভাবকরা স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়েই ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তার লাশ দাফন করেন। ফলে, তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্ত করা হয়নি।  

ওমর বিন নুরুল আবছার নিহতের ঘটনায় ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত আদেশে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওমরের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।  

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেছেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ ওমরের মরদেহ উত্তোলনের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার দাফন করা হবে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ