টি-সিরিজের মিউজিক ভিডিও ‘দিল পে জখম’ দিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে গ্ল্যামার–দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন কাশিকা কাপুর। মডেলিংয়ের জগতে তিনি ইতিমধ্যেই পরিচিত মুখ। প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়ুষ্মতী গীতা ম্যাট্রিক পাস’-এ অভিনেত্রী হিসেবে নজর কাড়েন, প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। এবার তেলেগু ছবি ‘এলওয়াইএফ: লাভ ইয়োর ফাদার’ দিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় ছবির জগতে পা রেখেছেন কাশিকা। এ ছবির জন্য শতাধিক মেয়ের অডিশন নেওয়া হয়েছিল, যাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাশিকা।
তিনি জানান, অডিশনের রাতেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পথটা সহজ ছিল না। নিজের শুরুর দিনের কথা বলতে গিয়ে কাশিকা বলেন, ‘১৬ বছর বয়সে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন কিছুই জানতাম না। একেবারে অজ্ঞ ছিলাম, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল জ্বলে ওঠা আগুন। প্রত্যাখ্যান আমার নিত্যসঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। একটা ছবিতে সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও বাদ পড়েছিলাম।
কাশিকা কাপুর। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪৩তম বিসিএসের গেজেট-বঞ্চিতদের প্রতি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংহতি
৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সোমবার চলমান কর্মসূচিতে কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা।
প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও ছাত্রনেতা রাফিকুজ্জামান ফরিদ। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
গেজেটভুক্ত করে যোগদান নিশ্চিতকরণ এবং ‘সরকারি চাকরি ভেরিফিকেশন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে অনশন করছেন ৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এদের (আন্দোলনরতদের) সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা একটা চরম বৈষম্য। সরকারের উচিত দ্রুত তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া।’
কারণ না দেখিয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কোনো রাষ্ট্রের নেই উল্লেখ করে আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘আমরা একটা পুরোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, যে ব্যবস্থায় রাষ্ট্র মানুষকে কেবল ফাঁকা আশ্বাস দেয়, কিন্তু মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোকে পূরণ করে না। এই সরকার সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসবে, এটা আমার বিশ্বাস।’
মানজুর আল মতিন আরও বলেন, ‘আপনাদের দীর্ঘ চার মাস ধরে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সরকার সেই আশ্বাস পূরণ করবে, এটাই প্রত্যাশা। আপনাদের গেজেটেভুক্ত করা হোক, এই দাবি জানাই।’
মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে কীসের সংস্কার করা হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের নিয়োগটা ২০২০ সালের। এখন ২০২৫ সাল, এখনো তাঁদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হচ্ছে না। এটা তো ওনাদের জন্য একটা অনিশ্চয়তা। এ রকম আরও বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে।’