টি-সিরিজের মিউজিক ভিডিও ‘দিল পে জখম’ দিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে গ্ল্যামার–দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন কাশিকা কাপুর। মডেলিংয়ের জগতে তিনি ইতিমধ্যেই পরিচিত মুখ। প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়ুষ্মতী গীতা ম্যাট্রিক পাস’-এ অভিনেত্রী হিসেবে নজর কাড়েন, প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। এবার তেলেগু ছবি ‘এলওয়াইএফ: লাভ ইয়োর ফাদার’ দিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় ছবির জগতে পা রেখেছেন কাশিকা। এ ছবির জন্য শতাধিক মেয়ের অডিশন নেওয়া হয়েছিল, যাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাশিকা।

তিনি জানান, অডিশনের রাতেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পথটা সহজ ছিল না। নিজের শুরুর দিনের কথা বলতে গিয়ে কাশিকা বলেন, ‘১৬ বছর বয়সে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন কিছুই জানতাম না। একেবারে অজ্ঞ ছিলাম, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল জ্বলে ওঠা আগুন। প্রত্যাখ্যান আমার নিত্যসঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। একটা ছবিতে সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও বাদ পড়েছিলাম।

কাশিকা কাপুর। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ থেকে ১৯ জুন) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি ৫ লাখ টাকা।

শনিবার (২১ জুন) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.৩২ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৮৩ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.৮০ পয়েন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৭ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২০ পয়েন্ট বা ২.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৪টির, দর কমেছে ১৫৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২ টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩১ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৭০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.১৪ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.১০ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ১১০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৮ শতাংশ বেড়ে ৮৫২ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৩৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩০১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ২৯৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৯৪ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, দর কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ