ফুটবলার ছাড়া নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই সময়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ একেএম মারুফুল হক এবং ক্লাব বসুন্ধরা কিংস একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ছয় মাসের মধ্যে আবারও আলোচনায় ক্লাব আগে নাকি দেশ আগে?
নতুন করে পুরোনো এই প্রশ্ন উঠেছে ভারতের অরুণাচলে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে কেন্দ্র করে। বয়সভিত্তিক এই সাফের জন্য ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের চন্দন রায় এবং ইউসুফ। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপু এবং ইকরামুল। গত ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরুর দিন থেকে এ চার ফুটবলার দলে যোগ দেননি। বিকেএসপি ১০ ফুটবলারকে ছাড়পত্র দিলেও ইকরামুল এবং অপু পরীক্ষার কারণে যোগ দেননি।
বসুন্ধরা কিংস চন্দন এবং ইউসুফকে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলে খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। বাফুফের কর্তাদের অনুরোধও কানে তোলেননি কিংস কর্মকর্তারা। অনূর্ধ্ব-১৯ সাফকে সামনে রেখে গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীও কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন ফুটবলার না ছাড়ার কারণে।
যদিও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোতে খেলোয়াড় ছাড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। এ সুযোগটি নিয়েছে কিংস। বসুন্ধরার দুই ফুটবলার থাকলে দল আরও শক্তিশালী হতো বলে মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এ ব্যাপারে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোকে আরও সমীচীন সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়।’
৯ থেকে ১৮ মে অরুণাচলে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ। গ্রুপ ‘এ’তে বাংলাদেশ খেলবে মালদ্বীপ এবং ভুটানের বিপক্ষে। উদ্বোধনী দিনে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের দলটি। এ টুর্নামেন্টের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে তিন প্রবাসী ইংল্যান্ডের এলমান মতিন, ইতালির আব্দুল কাদির এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফারজাদ সায়েদ আফতাব ছিলেন। পারফরম্যান্সের কারণে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াডে নেই মতিন। কোচ ছোটনের আশা, ‘সবসময় সাফে একটি ভালো রেজাল্ট প্রত্যাশা থাকে। আশা করি ছেলেরা সেটি করতে পারবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল অন র ধ ব ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় ম্যাচে ছয় জয় রিয়ালের, বার্নাব্যুতে উৎসব হলো অন্য কারণেও
রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ এস্পানিওল
ছয় ম্যাচ, ছয় জয়। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো অপরাজিত।
রিয়ালের সর্বশেষ জয়টা এসেছে আজ, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জাবি আলোনসোর দল। লা লিগায় এটি রিয়াল মাদ্রিদের পাঁচ ম্যাচে পঞ্চম জয়।
ম্যাচে রিয়াল কোচ আলোনসোর একাদশ কিছুটা চমকে দেয় ফুটবলপ্রেমীদের। কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে আক্রমণভাগে জুটি গড়তে তিনি দলে নেন গঞ্জালো গার্সিয়াকে। তবে ম্যাচের প্রথম গোলটা এই দুজনের কেউ করতে পারেননি। করেছেন অপ্রত্যাশিত একজন—এদের মিলিতাও!
প্রথম ২৩ মিনিট রিয়াল মাদ্রিদ গোলের পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথম গোলটাকেও হয়তো তেমন পরিষ্কার সুযোগ বলা যাবে না। ৩০ গজ দূর থেকে বল নিয়ে এদের মিলিতাও এগিয়ে যান, মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় আক্রমণটা রুখে দেবে এস্পানিওল। কিন্তু সেটা হয়নি, মিলিতাওয়ের বুলেট গতির এক শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ।
এদের মিলিতাওয়ের গোল উদযাপন