Samakal:
2025-11-04@21:10:40 GMT

ক্লাব-জাতীয় দলে টানাপোড়েন!

Published: 6th, May 2025 GMT

ক্লাব-জাতীয় দলে টানাপোড়েন!

ফুটবলার ছাড়া নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই সময়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ একেএম মারুফুল হক এবং ক্লাব বসুন্ধরা কিংস একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ছয় মাসের মধ্যে আবারও আলোচনায় ক্লাব আগে নাকি দেশ আগে? 

নতুন করে পুরোনো এই প্রশ্ন উঠেছে ভারতের অরুণাচলে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে কেন্দ্র করে। বয়সভিত্তিক এই সাফের জন্য ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের চন্দন রায় এবং ইউসুফ। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপু এবং ইকরামুল। গত ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরুর দিন থেকে এ চার ফুটবলার দলে যোগ দেননি। বিকেএসপি ১০ ফুটবলারকে ছাড়পত্র দিলেও ইকরামুল এবং অপু পরীক্ষার কারণে যোগ দেননি। 

বসুন্ধরা কিংস চন্দন এবং ইউসুফকে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলে খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। বাফুফের কর্তাদের অনুরোধও কানে তোলেননি কিংস কর্মকর্তারা। অনূর্ধ্ব-১৯ সাফকে সামনে রেখে গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীও কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন ফুটবলার না ছাড়ার কারণে।

যদিও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোতে খেলোয়াড় ছাড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। এ সুযোগটি নিয়েছে কিংস। বসুন্ধরার দুই ফুটবলার থাকলে দল আরও শক্তিশালী হতো বলে মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এ ব্যাপারে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোকে আরও সমীচীন সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়।’

৯ থেকে ১৮ মে অরুণাচলে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ। গ্রুপ ‘এ’তে বাংলাদেশ খেলবে মালদ্বীপ এবং ভুটানের বিপক্ষে। উদ্বোধনী দিনে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের দলটি। এ টুর্নামেন্টের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে তিন প্রবাসী ইংল্যান্ডের এলমান মতিন, ইতালির আব্দুল কাদির এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফারজাদ সায়েদ আফতাব ছিলেন। পারফরম্যান্সের কারণে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াডে নেই মতিন। কোচ ছোটনের আশা, ‘সবসময় সাফে একটি ভালো রেজাল্ট প্রত্যাশা থাকে। আশা করি ছেলেরা সেটি করতে পারবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল অন র ধ ব ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

উড়োজাহাজ খাতে প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা ও বৈষম্য বিলোপের তাগিদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং এবং ইউরোপের এয়ারবাসের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে হঠাৎ এয়ারবাসের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছিল। আর চলতি বছর পাল্টা শুল্কের দর–কষাকষির ইস্যুতে বোয়িং অন্যতম শর্ত হিসেবে সামনে এসেছে।

এমন এক প্রেক্ষাপটে ঢাকায় এক আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উড়োজাহাজ খাতে ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি সব পক্ষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন। এই খাতে ‘অন্য অংশীদারদের’ তুলনায় ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যাতে কম গুরুত্ব দেওয়া না হয়, সে বিষয়টি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে বলেছেন।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ অভিমত দেন। আলোচনায় মাইকেল মিলার ছাড়াও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ এবং এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া অংশ নেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি এ দেশে এয়ারবাসের উপস্থিতির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে জোর দিচ্ছি। আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, স্বচ্ছতা এবং বৈষম্যহীনতার দীর্ঘদিনের আশ্বাস পূরণ করে এটিকে যেন বিমানের বহরকে আধুনিকীকরণ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ দেশের উড়োজাহাজ খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখা উচিত।’

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের উড়োজাহাজ শিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই এটিকে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই খাতে বাংলাদেশের বিকাশ পর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাঁর মতে, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান এই দেশকে আকাশপথে যোগাযোগের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমান বাংলাদেশের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা আরও বাড়বে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আকাশপথে যোগাযোগের আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বাণিজ্যিক যোগ্যতার ভিত্তিতে ইইউর অর্থনৈতিক উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সুযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ প্রত্যাশা করি। এর অর্থ হলো বাংলাদেশকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেটরদের অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের তুলনায় কম সুবিধা দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বোয়িং ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টির। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও ৪টি এ৩২০ নিও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ