নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
Published: 6th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের হকার জুবায়ের হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ওই মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া রায় ঘোষণা করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ বরুমদী এলাকার আব্দুস সামাদ মুন্সীর ছেলে মো ইকবাল হোসেন (৩৭), বন্দরের নূর ইসলামের ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে কিশোরের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস পালন
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মো. কবির হোসেনের মো. হাছান আল মামুন (২২) ও কুমিল্লার বাঙ্গারা বাজার এলাকার মো. রাসেল হোসেন (২৭)। রাসেল পলাতক।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, “২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির উপস্থিতি ও এক আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।”
মামলার বাদী মুক্তা বেগম বলেন, “আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। ছেলেটি মাদরাসায় পড়ত। সংসারের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমার একমাত্র ছেলে জুবায়ের ফুটপাতে জুতার দোকানে কাজ করত। আমার সেই সন্তানকে তারা (আসামি) নির্মমভাবে ছুরি দিয়ে হাতের কব্জি কেটে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আদালতের এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট।”
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাছুদা বেগম শম্পা বলেন, “এটা আলোচিত হত্যা মামলা। ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বলাকা পেট্রল পাম্পের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দণ্ডপ্রাপ্তদের হাতে হকার জুবায়ের ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম
এছাড়াও পড়ুন:
এলডিসি থেকে উত্তরণে এগিয়ে বাংলাদেশ, মানবসম্পদে পিছিয়ে
বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। জাতিসংঘের নির্ধারিত তিনটি সূচক-মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে দীর্ঘদিন ধরে মান পূরণ করে আসছে বাংলাদেশ। তবে মানবসম্পদ সূচকে কিছুটা অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের হিসাবে মানবসম্পদ সূচকে দেশের অর্জন ৭৭ দশমিক ১ পয়েন্ট, যা আগের বছরের ৭৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট থেকে কমেছে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন থেমে যাওয়ায় এই সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এলডিসি উত্তরণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ৬৬ পয়েন্টের চেয়ে এখনও অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।
মাথাপিছু আয় সূচকে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে আছে। ২০২৫ সালের হিসাবে তিন বছরের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৪ মার্কিন ডলার, যেখানে মানদণ্ড ১ হাজার ৩০৬ ডলার মাত্র। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকেও সামান্য উন্নতি হয়েছে-২০২৪ সালে যেখানে পয়েন্ট ছিল ২১ দশমিক ৯, সেখানে ২০২৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮। এই সূচকে ৩২ বা তার নিচে থাকাই উত্তরণের শর্ত।
জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি-নির্ধারণী কমিটি প্রতি তিন বছর পরপর এলডিসি তালিকার দেশগুলোকে মূল্যায়ন করে এবং যোগ্য দেশগুলোর জন্য উত্তরণের সুপারিশ করে। বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালের দুটি মূল্যায়নেই তিনটি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায় এবং ২০২৪ সালে উত্তরণের কথা থাকলেও, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সময় পিছিয়ে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা তৈরি হবে। তবে এর সঙ্গে কিছু বিশেষ সুবিধা হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, যেগুলো এলডিসি দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বে ৪৪টি স্বল্পোন্নত দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ যদি নির্ধারিত সময়মতো উত্তরণে সফল হয়, তবে এটি হবে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তিনটি সূচকেই পূর্ণ মান অর্জনের মাধ্যমে এলডিসি তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ