সাংবাদিক মিলন ও হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 6th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশের বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো.
বক্তারা বলেন, একসময় ফ্যাসিস্ট সরকার সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছিল। আমরা মনে করেছিলাম ৫ আগস্টের পর সাংবাদিকরা মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে, কিন্তু এখনো সেই চক্র সক্রিয়।
মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও হাবিব খন্দকারের ওপর হামলা তারই ধারাবাহিকতা। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ কেউ থামাতে পারেনি, পারবেও না। যত হামলা-মামলাই হোক, সংবাদকর্মীরা দেশ ও জনগণের পক্ষে সত্য প্রকাশ করেই যাবে।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪-এর স্টাফ রিপোর্টার আহসান সাদিক, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরান আলী সজিব, একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, কালবেলার আরিফ হোসাইন কনক, দৈনিক দেশটিনির হারুনুর রশীদ সাগর, সিনি নিউজের বার্তা সম্পাদক জুয়েল রানা, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান কচি, উজ্জীবিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল ওয়াহেদ, মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার রাকিবুল হাসান, বিপি নিউজের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মেহেদি মঞ্জুর বকুল, ফটো সাংবাদিক আলী হোসেন টিটু, রিপন আহমেদ, খবর নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মশিউর রহমান, সিটি নিউজের নির্বাহী সম্পাদক সোহেল সরকার, জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক রফিকউল্লাহ রিপন, ডেইলি নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মনির হোসেন, দৈনিক জনবাণির জেলা প্রতিনিধি জহিরুল হক, বিপি নিউজের দিপ্ত দেবনাথ, প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জের সাব্বির আহমেদ, এখন টিভির ভিজে আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাগরিক টিভির রায়হান রনি এবং এশিয়ান টিভির আরিফ আলম।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র স ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় সরকারি জায়গায় দেয়াল দিয়ে পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধের অভিযোগ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সরকারি জায়গা দখল করে এলাকার পানিনিষ্কাশনের পথে দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোটরপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা দুই ভাই প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে ভবন করেছেন। এতে এলাকার পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাফেরা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মো. নেছার উদ্দিনের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন কয়েক শ বাসিন্দা। তাঁরা পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই মানববন্ধন করেন। সেখানে তাঁরা অবিলম্বে নালার ওপর থেকে স্থাপনা সরানোর দাবি জানান।
বক্তারা উল্লেখ করেন, জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোটরপাড়া এলাকায় পানিনিষ্কাশনের জন্য সরকারি মৌজার একটি নালা আছে। সেটি মো. নেছার উদ্দিনের বাড়ির পাশে খাসজায়গার ওপর দিয়ে কর্ণফুলী নদী সংযুক্ত খালে পড়েছে। মো. নেছার উদ্দিন ও তাঁর ভাই মো. আরিফ প্রভাব খাটিয়ে সেই জায়গায় নতুন ভবন করেছেন। ফলে পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার ব্যবহৃত পানি নালা উপচে সড়কে উঠে আসছে। আট মাস ধরে এ অবস্থা এখানে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা সুলাইমান, স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু তালেব, আহমদ নূর, আলী আহমেদ, মো. বশীর, মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিন, রোজিনা আক্তার, মর্জিনা বেগম প্রমুখ। এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানি ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পানি মাড়িয়ে মসজিদে, বিদ্যালয়ে যেতে হয়। প্রতিবাদ করলে তাঁরা মামলার হুমকি দেন। অনেকে মিথ্যা মামলার কারণে বাড়িতে আসতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আশপাশের অন্তত ১০০ গজজুড়ে সড়কে অপরিষ্কার পানি দেখা গেছে। বৃষ্টির ফলে ময়লা পানি পুকুরের পানিতেও মিশেছে।
এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। তাতে উল্লেখ করা হয়, মো. নেছার উদ্দিন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল। তাঁর ছোট ভাই মো. আরিফ চট্টগ্রাম বিভাগের একটি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বক্তব্য জানতে তাঁদের দুজনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা ফোন ধরেননি।
জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি জায়গা কি না, সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। খাসজায়গার ওপর দেয়াল নির্মাণ হলে আমরা ভেঙে দেব যাচাইয়ের পর।’