‎‎রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়নে আবাসন প্রকল্পের নামে জমি ক্রয় না করে সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ফসলী জমি, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট ভরাট করে ফেলার বিরুদ্ধে 
‎প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকার জমি মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনে এ দাবি জানান।

‎‎এসময় ভুক্তভোগীরা জানান,  রূপগঞ্জ  থানার  কায়েতপাড়া ইউনিয়নে আবাসন প্রকল্পের নামে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী জমি ক্রয় না করে এবং জমির মালিককে না জানিয়ে তাকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমিতে লাল নিশান উড়িয়ে সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ফসলী জমি, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট ভরে ফেলছে।

এমনকি জমির মালিকদের কাঁচা ধান পাকার সুযোগ না দিয়ে মালিকপক্ষকে ফসলের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাদের জমির মধ্য দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিন ভেকু লাগিয়ে দ্রুততার সাথে প্রশস্ত পাকা রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান বিরোধী।

‎‎ফলে কায়েতপাড়ার সর্বস্তরের জনগন অতিসত্বর বালু ভরাট বন্ধের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের   ডিসি ও অন্তর্র্বতীকালীন  সরকারের নিকট  দাবী জানাই। জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে বালু ভরাট বা রাস্তাঘাট নির্মান করা যাবে না।

‎জমি না কিনে ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে বালি ভরাটকৃত জমির ন্যায্যমূল্য সহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে। ‎আবাসন প্রকল্প অবশ্যই বসত বাড়ির বাইরে থাকতে হবে। অবিলম্বে আবাসন প্রকল্পের উঊগঅজঈঅঞওঙঘ/সীমানা নির্ধারন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প নির্মান করতে হবে।

প্রকল্প এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ম্যাপ টানিয়ে রাখতে হবে। বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০০ ফিট দূরে আবাসন প্রকল্পের সীমানা বা ইঙটঘউঅজণ থাকতে হবে।

‎‎আবাসন প্রকল্পের কোন রাস্তা করতে হলে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করতে হলে অবশ্যই বাড়ির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ তাকে প্রকল্পের মধ্য থেকে একটি প্লট বরাদ্ধ করতে হবে।

আর যদি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে অবশ্যই রাস্তা নির্মানের জন্য জমির ন্যায্যমূল্য এবং ফসলের ক্ষতিপূরণ অবশ্যই জমির মালিককে প্রদান করতে হবে।

‎‎ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে কোনভাবেই বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করা যাবেনা। জমির প্রকৃত মালিক ও দখলে থাকা ব্যক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হবে।

ওয়ারিশ এর নিকট থেকে জমি ক্রয়ের নামে কমমূল্যে জমি ক্রয় করে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদারকে উচ্ছেদকরা যাবে না।বসতবাড়ির চেয়ে উঁচু করে বালু ভরাট করা যাবে না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ বসতব ড় ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খিয়াং সম্প্রদায়ের নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে জেলা শিল্পকলা একামেডির সামনে মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী উজাই মারমা, সুজন চাকমা। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সুমন চাকমা, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এক মাস আগে কাউখালিতে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। বারবার পাহাড়ে নারীরা ধর্ষণের শিকার হলেও প্রশাসন ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে না।’’

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বারো রাস্তার মোড়ে গোলচত্বর করার দাবিতে মানববন্ধন

শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার দাবিতে শিবিরের মানববন্ধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সুমন চাকমা বলেন, ‘‘১৮ মাসের একটি বাচ্চা রেখে খিয়াং নারী জুম চাষ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। পরে মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বান্দরবান পুলিশ নাকি কোনো ধর্ষণের আলামত পায়নি। এভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ষণকারীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়।’’

মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, ‘‘আমরা যখন আন্দোলন করি, তখন প্রশাসন একটু নড়েচড়ে বসে। পরে আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে অপরাধীরা বের হয়ে যায়। সরকার যদি এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এসব ঘটনা কখনো বন্ধ করা যাবে না। তাই সরকারকে এই বিষয়ে আরো কঠোর হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

থানচির তিন্দু ইউনিয়নের মংখ্যং পাড়া এলাকার বাসিন্দা সন খিয়াং এর স্ত্রী চিংমা খিয়াং (২৯) সোমবার (৫ মে) সকালে জুম চাষের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে যায়। দুপুর পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরায় পাড়াবাসীরা তাকে পাহাড়ে খুঁজতে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জঙ্গলের ভিতরে পাহাড়ি ঝিরির পাশে চিংমা খিয়াং লাশ দেখতে পায়। স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সন খিয়াং বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) থানচি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

ঢাকা/শংকর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাকুলিয়া এখন পুরুষশূন্য গ্রাম
  • রাজধানীতে ধর্মঘটের ডাক দিলেন সিএনজি অটোরিকশার মালিকরা
  • অটোরিকশা নিষিদ্ধের দাবি
  • অটোরিকশা নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে ধর্মঘটের ডাক সিএনজি মালিকদের
  • হাসনাতের ওপর হামলায় বিএনপি নেতা আসামি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও 
  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালকের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • বন্দরে মানববন্ধন শেষে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে হামলা  
  • রাঙামাটিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন