সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 7th, May 2025 GMT
বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন) ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো.
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ‘মেসার্স পোটন ট্রেডার্স’ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে ৮টি চুক্তির মাধ্যমে বেলারুশ, কানাডা, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে আমদানি করা এমওপি, টিএসপি ও ডিএপি সার চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছে দেয়। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের মধ্যে ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন সার নির্ধারিত গুদামে সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করা হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ১ হাজার ৮৪ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৪১০ টাকা।
দুদকের অনুসন্ধান ও বিএডিসির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরবরাহ না করা সার ‘ট্রানজিটে রয়েছে’ মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করা হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে গঠিত এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পুনর্গঠিত বিএডিসির তদন্ত কমিটি একই বছরের ২৬ মার্চ প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন সার বিএডিসির গুদামে সরবরাহ করা হয়নি।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ একই প্রতিষ্ঠানের পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার সরবরাহ না করার অভিযোগে একটি মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলার তদন্ত এখনো চলমান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরবর হ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে উল্লুক ও চশমাপরা হনুমান বিলুপ্তির ঝুঁকিতে
বিলুপ্তির সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বানরগোত্রীয় প্রাণীর (প্রাইমেট) একটি বৈশ্বিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশে থাকা উল্লুক (Western Hoolock Gibbon) ও চশমাপরা হনুমান (Phayre’s Langur)।
‘প্রাইমেটস ইন পেরিল: দ্য ওয়ার্ল্ডস টুয়েন্টিফাইভ মোস্ট এনডেঞ্জারড প্রাইমেটস’ (২০২৩-২৫) শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এই তথ্য এসেছে। প্রতিবেদনটির (১২ তম সংস্করণ) ৮ মে প্রকাশিত হবে।
প্রতিবেদনটি যৌথভাবে প্রকাশ করছে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএনের স্পিশিজ সারভাইভাল কমিশনের (আইইউসিএন-এসএসসি) প্রাইমেট স্পেশালিস্ট গ্রুপ (পিএসজি), প্রকৃতি সংরক্ষণ-পুনরুদ্ধারে কাজ করা সংস্থা রি-ওয়াইল্ড ও ইন্টারন্যাশনাল প্রাইমেটোলজিক্যাল সোসাইটি (আইপিএস)।
প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন ২৫টি প্রাইমেটের উল্লেখ আছে। এর বাইরে আরও বেশ কিছু প্রাইমেটের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো বিপন্ন বলে বিবেচিত। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের উল্লুক ও চশমাপরা হনুমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে চশমাপরা হনুমানবিষয়ক অংশের বিবরণ প্রস্তুতে ভূমিকা রেখেছেন জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি গবেষক তানভীর আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই তালিকা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংরক্ষণ কৌশল প্রণয়ন, গবেষণা পরিকল্পনা ও আন্তরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের এই দুটি প্রাণীকে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণায় অর্থায়ন ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের সীমান্তবর্তী বনাঞ্চলে এই প্রজাতিগুলোর টিকে থাকার জন্য ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
তানভীর আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল প্রাইমেটোলজিক্যাল সোসাইটির ২৯ তম কংগ্রেসে উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। বিপন্ন বন্য প্রাণীদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার, নীতিনির্ধারক ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সচেতন করতে প্রতি দুই বছর পরপর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মৌলভীবাজারের আদমপুর বিটের উঁচু গাছে বাচ্চাসহ স্ত্রী উল্লুক