রোগীদের সুস্থতার ক্ষেত্রে নার্সদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় নার্সদের মানোন্নয়নে সরকারের আরও বিনিয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চমেক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য ব্যয় জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ এবং মোট বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাবকেও সমর্থন ও স্বাগত জানান তিনি। 

বুধবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.

শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘একজন নার্স যদি হাসিমুখে, সহানুভূতির সঙ্গে রোগীকে গ্রহণ করেন এবং তাকে আশ্বস্ত করেন, তবে রোগী মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ অনুভব করেন। নার্সের মুখ গম্ভীর থাকলে রোগীও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাই নার্সদের সবসময় হাস্যোজ্জ্বল, সহানুভূতিশীল এবং আত্মবিশ্বাসী আচরণ বজায় রাখা উচিত। শুধু ওষুধ প্রয়োগ নয়, রোগী বা তার স্বজনদেরকে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করাও নার্সদের দায়িত্ব।’

চমেক মেয়র আরও বলেন, ‘কেরালা, ব্যাঙ্গালুরু, শ্রীলঙ্কা কিংবা থাইল্যান্ডের নার্সরা অত্যন্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমাদের দেশেও দক্ষ নার্স গড়ে তোলা সম্ভব, যদি আমরা তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে পারি। চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের নার্সিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা বিভিন্ন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগে সহায়তা করবে।’ 

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফের সভাপতিত্বে সমাপনী দিনে কর্মশালায় মুখ্য আলোচক ছিলেন নার্সিং অনুষদের ডিন ডা. মেহেরুন্নিছা খানম। রিসোর্স পার্সন ছিলেন সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের অধ্যাপক ডা. আবদাল মিয়া ও ডা. আফরোজা হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিএমডিসি এর সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতান, ডা. এসএম সারোয়ার আলম প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত হামলায় ইসরায়েলের ড্রোন ব্যবহার করেছে: পাকিস্তান আইএসপিআর

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী গতকাল বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘৬ মে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও একাধিক ড্রোন ধ্বংস এবং কয়েকজন সেনার মৃত্যুতে ভারত আতঙ্কে ভুগছে।’

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুনভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১১৩ ঘণ্টা আগে

‘শত্রুর প্রতিটি অশুভ পরিকল্পনা নস্যাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। যেকোনো আগ্রাসনের মোকাবিলা ও জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সক্ষম’, বলেছে সশস্ত্র বাহিনী।

আরও পড়ুনতথ্যযুদ্ধ: ভারত ও পাকিস্তান কি হামলা নিয়ে সত্য বলছে৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনভারতের ১২টি ড্রোন ‘নিষ্ক্রিয়’, একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত: পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ