সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছিকে ভারত জানাল, প্রত্যাঘাতের পর পরিস্থিতি আরও জটিল করতে নয়াদিল্লি আগ্রহী নয়। তবে পাকিস্তান সামরিক আক্রমণ করলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

ভারত ও ইরানের ২০তম যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে এক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্বাস আরাগছি। গতকাল বুধবার তিনি দিল্লি এসেছেন। বৃহস্পতিবার যৌথ কমিশনের বৈঠকে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে দেওয়া ভাষণে ভারতের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

স্বাগত ভাষণে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এমন একটা সময়ে আপনারা ভারতে এসেছেন, যখন গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া এক ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা ব্যস্ত। জম্মু-কাশ্মীরের ওই হামলা আমাদের বাধ্য করেছে, সীমান্তপারের জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে। আমরা লক্ষ্যবস্তু বেছে বেছেই প্রত্যাঘাত করেছি।’

জয়শঙ্কর বলেন, ‘পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠুক, তা আমরা চাই না। তবে আমাদের ওপর আঘাত এলে নিঃসন্দেহে আমরা তা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিহত করব।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনারা আমাদের প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী। পরিস্থিতি সম্যকভাবে জানা আপনাদের জন্য জরুরি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ