মামলায় নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে: সারজিস আলম
Published: 8th, May 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় নাম দেওয়ার পর নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম লেখেন, অন্যায়-অপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।
তিনি লেখেন, রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি। আর অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতোই সঙ্গ দিচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভাগ বাটোয়ারা করে কাজ চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে বোমা ফেলে মার্কিন ঘাঁটিতে বি-২ বোমারু
ইরানে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ শেষ করে একটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
রোববার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান, ইরান মিশনে অংশ নেওয়া বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানের পাইলটরা নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘দারুণ দক্ষ বি-২ পাইলটরা এখনই নিরাপদে মিজৌরিতে অবতরণ করেছেন। দারুণ কাজের জন্য ধন্যবাদ!’
ইরানে নজিরবিহীন এই মার্কিন অভিযানে সাতটি স্টেলথ বি-২ বোমারু বিমান অংশ নেয়। সব মিলিয়ে এই অভিযানে ১২৫টির বেশি উড়োজাহাজ অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল বি-২, জ্বালানি ভরার ট্যাংকার উড়োজাহাজ, নজরদারি উড়োজাহাজ ও যুদ্ধবিমান।
প্রতিটি বি-২ বোমারু বিমান দুটি করে ‘বাংকার ব্লাস্টার’ বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রতিটি বোমার ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ভূগর্ভস্থ ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে সক্ষম একমাত্র এই বোমা।
গত শনিবার মধ্যরাতের পর ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
অভিযানের পর ট্রাম্প জানান, খুব সফলতার সঙ্গে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান। এর মধ্যে ফর্দো ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে। ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, তেহরান যদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্ত না হয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।
তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো মার্কিন হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে তেহরান। হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান বলেছে, এই হামলা ‘ক্ষমার অযোগ্য’।
ইরানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, হামলায় ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার ‘মারাত্মক কোনো’ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে পারে—এমন অনুমান থেকে স্থাপনাটি ‘অনেক আগেই’ খালি করা হয়েছিল।