ইন্সপেক্টর-সুপারিনটেনডেন্ট পদবি ফেরাতে পেশাগত প্রোফাইল পরিবর্তন
Published: 9th, May 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টম ও ভ্যাটের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদের পুরোনো পদবি ইন্সপেক্টর-সুপারিনটেনডেন্ট পদ পুনর্বহালের দাবিতে সোচ্ছার হয়েছেন। সম্প্রতি পদবি ফিরে পেতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়ার পর এবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পেশাগত প্রোফাইল পরিবর্তন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার এসব কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সমমানের পদবি হলো সুপারিনটেনডেন্ট এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের সমমানের পদবি হলো ইন্সপেক্টর। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০-১১ অর্থবছরে তাদের পুরোনো ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদ পরিবর্তন করে যথাক্রমে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তা পদবি দেওয়া হয়। পুরোনো এই পদ ফিরে পেতে এসব কর্মকর্তারা দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছে। বর্তমানে কাস্টম-ভ্যাটের প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
এর আগে বাকাএভ গত ৪ মে পুরোনো এ পদ পুনর্বহালের দাবিতে তারা এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে কাস্টমস বিভাগের ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্টদের সঙ্গে কাজের সমন্বয়ে এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজে কিংবা বিমানবন্দরে কার্যক্রমেও এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা পরিচয় দিতে গিয়ে ‘পরিচয়সংকট’ বা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস অনুভব করেন। কারণ, বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন বা বিমানের পাইলট সবার কাছে ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবিতে পরিচিত।
চিঠিতে বাকাএভের নেতারা বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবি কাস্টমসের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গৌরব ও ঐতিহ্য বহন করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। তাই ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবি পুনর্বহাল করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার উপাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত শিক্ষক আবদুর রহিমের মেজ ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মিজানুর মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিজানুর রহমান বাড়ির পাশে একটি বিলে শাপলা তুলতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর হদিস পাননি। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গতকাল রাত ৯টায় ওই বিলের পানিতে তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব সহজ-সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। সাঁতার জানতেন না। ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকাহত।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।