জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টম ও ভ্যাটের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদের পুরোনো পদবি ইন্সপেক্টর-সুপারিনটেনডেন্ট পদ পুনর্বহালের দাবিতে সোচ্ছার হয়েছেন। সম্প্রতি পদবি ফিরে পেতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়ার পর এবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পেশাগত প্রোফাইল পরিবর্তন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার এসব কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সমমানের পদবি হলো সুপারিনটেনডেন্ট এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের সমমানের পদবি হলো ইন্সপেক্টর। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০-১১ অর্থবছরে তাদের পুরোনো ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদ পরিবর্তন করে যথাক্রমে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তা পদবি দেওয়া হয়। পুরোনো এই পদ ফিরে পেতে এসব কর্মকর্তারা দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছে। বর্তমানে কাস্টম-ভ্যাটের প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। 

এর আগে বাকাএভ গত ৪ মে পুরোনো এ পদ পুনর্বহালের দাবিতে তারা এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে কাস্টমস বিভাগের ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্টদের সঙ্গে কাজের সমন্বয়ে এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজে কিংবা বিমানবন্দরে কার্যক্রমেও এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা পরিচয় দিতে গিয়ে ‘পরিচয়সংকট’ বা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস অনুভব করেন। কারণ, বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন বা বিমানের পাইলট সবার কাছে ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবিতে পরিচিত। 

চিঠিতে বাকাএভের নেতারা বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবি কাস্টমসের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গৌরব ও ঐতিহ্য বহন করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। তাই ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবি পুনর্বহাল করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নাগরিক সমস্যা নিয়ে নাসিক প্রশাসককে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর স্মারকলিপি 

নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোশনের প্রশাসক এএইচএম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব এর নিকট ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে স্মারকলিপি পেশ করেছে আমরা নারায়ণগঞ্জকাসী।  

সোমবার (২৩ জুন) আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ স্মারকলিপি পেশ করেন। 

এ সময় নাসিক প্রশাসক গভীর মনোযোগের সাথে দাবিসমূহ শ্রবন করেন এবং দাবিগুলি যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করে স্মারকলিপি গ্রহনপূর্বক উহা দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন। 

১১ দফা দাবিগুলো হলো- 

১। বন্দরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে কদম রসুল সেতুর প্রয়োজনীয় র‌্যাম্প পরিবর্তন করে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করা।

২। জন দূর্ভোগ নিরসনে বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।

৩। রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল খালের পানিতে ভাসমান কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে তা প্রতি মাসে অন্তত: দুই বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি।

৪। বঙ্গবন্ধু রোড সহ শহরের সকল সড়ক বাতি এবং রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল লেকের চতুর্পাশে স্থাপিত সড়ক বাতিগুলি ধারাবাহিক ভাবে সচল রাখা।

৫। মীরজুমলা রোড সম্পূর্ণ হকার মুক্ত করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা।

৬। ক) ২নং গেইট এর মোড় দিয়ে উল্টো পথে পশ্চিমে আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে অবৈধ ভাবে              যান চলাচল প্রবেশ বন্ধ করা।

     খ) বঙ্গবন্ধু সড়কের গলাচিপা মোড় থেকে উল্টোপথে ডানদিকে তথা দক্ষিনে যান চলাচল বন্ধ                 করা।

     গ) ২নং গেইট দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভাজকের দুই পার্শ্বেই গাড়ি চলাচলা নিশ্চিত করা।

     ঘ) ২নং রেল গেইট থেকে বাস ষ্টোপেজ অপসারণ এবং এসএস রোড (চেম্বার রোড) থেকে বাম              দিকে কোনাকুনি (মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ সংলগ্ন) বঙ্গবন্ধু সড়কে যাওয়ার ফুটপাতও রাস্তাটি হকার                মুক্ত করে পথচারী ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।

     ঙ) ২নং গেইট হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন দেওভোগ অঞ্চলে প্রবেশের জন্য              প্রবেশ পথ তৈরি করা। 

৭। ২নং গেইট তথা আলমাস পয়েন্ট থেকে উত্তরে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের পশ্চিম           পার্শ্বের রাস্তাটি ১০/১৫ ফুট প্রশস্ত করা। 

৮। চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পার্শ্বটি যান চলাচলে উন্মুক্ত                রাখতে অবৈধ মিশুক ও সিএনজি ষ্টেশন অপসারন করা। 

৯। শায়েস্তা খান সড়কে সুয়ারেজ পাইপ লাইন স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করা। 

১০। ২নং রেল গেইট থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অস্থায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও চালু              করতে হবে।  

১১। রাসেল পার্কে চারুকলা ভবনের নিচতলায় তরুন ছাত্রদের কুংফু কারাতে প্রশিক্ষন ব্যবস্থাটি                 পুনরায় চালু করা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা।

স্মারকলিপি দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, কুতুবউদ্দিন আহম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, হাজী মোঃ রমজান উল রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন,  সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আহম্মদ জাগু, গোলাম রসুল রফিক, ক্রীড়া সম্পাদক হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর কবির পোকন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান জামান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাজীউদ্দিন আহম্মদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিমন শিপলু, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, আবুল হোসেন সরদার, কার্যকরী সদস্য হাফেজ শফি আহম্মেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মোড়ল, তাপস সাহা, কামাল হোসেন মিলন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ