পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথমবার ভাষণ দিয়েছেন রবার্ট ফ্রান্সিস। শুক্রবার তিনি ভ্যাটিকানে পোপের সরকারি বাসভবনে কার্ডিনালদের সামনে এ ভাষণ দেন।
বৃহস্পতিবার রবার্ট ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম পোপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি‘পোপ লিও চতুর্দশ’ নামে অভিষিক্ত হয়েছেন।
নতুন পোপ সমবেত কার্ডিনালদের বলেচেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ক্যাথলিক চার্চের বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে “একসঙ্গে চলার জন্য আপনাদের প্রত্যেকের উপর আমি নির্ভর করতে পারি।”
তিনি বলেন, তার নির্বাচন চার্চকে ‘এই পৃথিবীর অন্ধকার রাতে’ আলো আনতে সাহায্য করবে।
নতুন পোপ চার্চকে যেখানে ‘বিশ্বাসের অভাব’ রয়েছে সেখানে এবং যেখানে ‘প্রযুক্তি, অর্থ, সাফল্য, ক্ষমতা বা আনন্দ’কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেখানে আরো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পোপ লিও বলেছেন, “একটি বিশেষ উপায়ে, ঈশ্বর আমাকে প্রেরিত রাজপুত্রদের উত্তরসূরী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের মাধ্যমে ডেকেছেন এবং এই সম্পদ আমার উপর অর্পণ করেছেন যাতে, তার সাহায্যে, আমি গির্জার সমগ্র রহস্যময় দেহের বিশ্বস্ত প্রশাসক হতে পারি। তিনি তা করেছেন যাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি শহরে চিরদিন থাকতে পারেন, ইতিহাসের জলের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী পরিত্রাণের একটি জাহাজ হওয়া যায় এবং এই পৃথিবীর অন্ধকার রাতগুলোকে আলোকিত করে এমন একটি আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার