পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথমবার ভাষণ দিয়েছেন রবার্ট ফ্রান্সিস। শুক্রবার তিনি ভ্যাটিকানে পোপের সরকারি বাসভবনে কার্ডিনালদের সামনে এ ভাষণ দেন।
বৃহস্পতিবার রবার্ট ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম পোপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি‘পোপ লিও চতুর্দশ’ নামে অভিষিক্ত হয়েছেন।
নতুন পোপ সমবেত কার্ডিনালদের বলেচেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ক্যাথলিক চার্চের বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে “একসঙ্গে চলার জন্য আপনাদের প্রত্যেকের উপর আমি নির্ভর করতে পারি।”
তিনি বলেন, তার নির্বাচন চার্চকে ‘এই পৃথিবীর অন্ধকার রাতে’ আলো আনতে সাহায্য করবে।
নতুন পোপ চার্চকে যেখানে ‘বিশ্বাসের অভাব’ রয়েছে সেখানে এবং যেখানে ‘প্রযুক্তি, অর্থ, সাফল্য, ক্ষমতা বা আনন্দ’কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেখানে আরো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পোপ লিও বলেছেন, “একটি বিশেষ উপায়ে, ঈশ্বর আমাকে প্রেরিত রাজপুত্রদের উত্তরসূরী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের মাধ্যমে ডেকেছেন এবং এই সম্পদ আমার উপর অর্পণ করেছেন যাতে, তার সাহায্যে, আমি গির্জার সমগ্র রহস্যময় দেহের বিশ্বস্ত প্রশাসক হতে পারি। তিনি তা করেছেন যাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি শহরে চিরদিন থাকতে পারেন, ইতিহাসের জলের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী পরিত্রাণের একটি জাহাজ হওয়া যায় এবং এই পৃথিবীর অন্ধকার রাতগুলোকে আলোকিত করে এমন একটি আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
‘বিদেশি নয়, দেশীয় বৃক্ষে ঢাবি সাজাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃক্ষশুমারি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃক্ষশুমারি উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টার এ বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরো পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক
আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।
এ সময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পরিবেশ সংসদের নেতৃবৃন্দ, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃক্ষশুমারি কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঢাবিতে নানা প্রজাতির বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই বৃক্ষশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই শুমারি অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”
ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই শুমারি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের একটি দল বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আইকনিক ল্যান্ডস্কেপে পরিণত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের সংখ্যা ও ঘনত্ব নির্ণয়, বৃক্ষের স্বাস্থ্য, দেশী গাছ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা নির্ণয়, প্রাচীন গাছের সংখ্যা নির্ণয়, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকারক গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করবে তারা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী