খুলনা সিটির মেয়র ঘোষণার দাবি জামানত হারানো শফিকুরের
Published: 10th, May 2025 GMT
কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, আবার কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরেছেন এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক)। সর্বশেষ ২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। নির্বাচনে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
আলোচিত নেতা শফিকুর রহমান ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজেকে খুলনা সিটির বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৩ সালে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে আমি প্রার্থী হই; কিন্তু আমার মনোনয়ন বাতিল করা হলে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করি। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ–প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়। নির্বাচনের ইভিএম মেশিনের সার্ভার স্টেশন ছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সেখান থেকেই সব ডিভাইস অচল-সচল করা হতো। এভাবেই ডিসির কার্যালয়ে থাকা ডিভাইস কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করা হয়।’
এস এম শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমার কর্মদক্ষতা ও ভিশনকে তরুণ সমাজ লুফে নেয় এবং আমি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাই। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফ্যাসিস্ট সরকার ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে আমাকে হারিয়ে দেয়।’ তিনি বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন। জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে গত ২০ এপ্রিল তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। ৬ মে উচ্চ আদালত এক আদেশে ২০২৩ সালের ১২ জুনের খুলনা সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল’ এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এস এম শফিকুর রহমান উচ্চ আদালতে রিট ও আদেশের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘জনতার মেয়র হিসেবে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে দেখা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে পরাজিত হন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে জাতীয় পাটির মনোনয়নে এবং ২০২৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেসিসির মেয়র পদে নির্বাচন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৭টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আউয়াল। তিনি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। এরপর জাপার শফিকুল ইসলাম ১৮ হাজার ৭৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান পান ১৭ হাজার ২১৮ ভোট। ওই নির্বাচনে চতুর্থ স্থানে থাকা মুশফিক জামানত হারান। এর আগে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও জাপার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে জামানত হারান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বতন ত র প র র থ ২০২৩ স ল জ ম নত
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে শুরু, এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত। গতকাল রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শুধু প্রোমোটেড শিক্ষার্থীরা ‘এফ’ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনার্স প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম পূরণসংক্রান্ত আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কোর্সের ইনকোর্স নম্বর দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে ২০ মে থেকে শুরু হবে, টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ জুন।
আবেদন ফরম সংগ্রহ
অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার আবেদন ফরম পরীক্ষার্থী নিজে অথবা কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা www.nubd.info/honours থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করে Application Form ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি নির্ধারিত ফিসহ নিজ নিজ বিভাগে জমা দিবেন।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শর্তাবলি
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশনকৃত অনার্স কোর্সের সব ছাত্রছাত্রী (যাঁরা রেগুলেশন অনুযায়ী কোর্স সম্পন্ন করেছেন) ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুনসাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে২২ ঘণ্টা আগেঅনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য
২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Not Promoted হয়েছেন অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, ওই সব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। Not Promoted শিক্ষার্থীকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না।
গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের জন্য
২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষে যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন, ওই সব শিক্ষার্থীরা শুধু C, C+ এবং D গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স/কোর্সগুলোয় গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২টি (দুই) পত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যেসব শিক্ষার্থী ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন কিন্তু এক বা একাধিক কোর্সে এফ গ্রেড রয়েছে, তাঁরা ২০২৪ সালের পরীক্ষায় এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স বা কোর্সগুলোয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সব এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে (রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদে) অবশ্যই ন্যূনতম ‘D’ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে C Promoted–প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতপত্রে ২০২৪ সালের পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুনউপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করল সরকার৪ ঘণ্টা আগে২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তাবলি
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক কোর্সে (এফ) গ্রেডপ্রাপ্ত (অকৃতকার্য) শিক্ষার্থীরা সর্বমোট পাঁচ হাজার টাকা ফি প্রদান করে শুধু ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নবায়নের কোনো প্রয়োজন হবে না। কোনো শিক্ষার্থী ফরম পূরণ/পরীক্ষায় অংশগ্রহণ/অকৃতকার্য হলে কোনো অবস্থাতেই পরবর্তী সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় গেড উন্নয়নের কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুনসাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে ১৭ মার্চ ২০২৫