আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) বাধা দেওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য ঋণ অনুমোদন ঠেকাতে পারেনি ভারত। শুক্রবার আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য দুটি প্রধান অর্থায়ন ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের এই দুটি অর্থায়ন ব্যবস্থা হচ্ছে-চলমান বর্ধিত তহবিল সুবিধার অধীনে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান এবং জলবায়ু সম্পর্কিত উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার লক্ষ্যে একটি নতুন স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সুবিধা (আরএসএফ)।

এই অনুমোদনের ফলে পাকিস্তানের জন্য মোট ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল উন্মুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আরএসএফ প্রোগ্রামের অধীনে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মার্চ মাসে আইএমএফ এই নতুন জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থার বিষয়ে পাকিস্তানের সাথে একটি কর্মী-স্তরের চুক্তিতে পৌঁছায়। পাশাপাশি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদিত ৩৭ মাসের ৭ বিলিয়ন ডলারের ইএফএফ প্রোগ্রামের প্রথম পর্যালোচনাও করা হয়েছিল।

শুক্রবারের আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় ভারত ভোটদানে বিরত ছিল। সিদ্ধান্তের আগে, ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিলেন। তারা অভিযোগ করেছিলেন যে, বৈশ্বিক তহবিলের অপব্যবহার করা হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক অর্থায়নের জন্য পাকিস্তানের যোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য আইএমএফ-এ তার প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

বোর্ড আলোচনার পরে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাইজেল ক্লার্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ সত্ত্বেও পাকিস্তান সমষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ক স ত ন র জন য অন ম দ তহব ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ

চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আজ মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, অক্টোবর ২০২৫-এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে।

এর আগে গত এপ্রিল মাসের আইএমএফের আউটলুকে এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। এখনো একই পূর্বাভাস রেখেছে আইএমএফ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে, আগামী বছর (২০২৬) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এ দিকে চলতি বছরে গড় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে বলে মনে করে আইএমএফ।

গত ৭ অক্টোবর আরেক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর আরেক দাতা সংস্থা এডিবি বলেছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এই দুটি সংস্থা অর্থবছর ধরে জিডিপির পূর্বাভাস দেয়। সরকার চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে।

আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা ১৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল এই যৌথ সভায় অংশ নিচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল সার্বিক সভায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সাইড লাইনে বিভিন্ন দাতা সংস্থা যেমন আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই সব সভায় চলমান ঋণ কর্মসূচি, আর্থিক খাতের সংস্কার, পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তারা।

বর্তমানে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ব অর্থনীতিতে ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব এখনো তেমন একটা পড়েনি: আইএমএফ
  • চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ
  • আইএমএফ–বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা শুরু হচ্ছে আজ